وخذ بيدك ضغثا فاضرب به ولا تحنث انا وجدناه صابرا نعم العبد انه اواب ٤٤
وَخُذْ بِيَدِكَ ضِغْثًۭا فَٱضْرِب بِّهِۦ وَلَا تَحْنَثْ ۗ إِنَّا وَجَدْنَـٰهُ صَابِرًۭا ۚ نِّعْمَ ٱلْعَبْدُ ۖ إِنَّهُۥٓ أَوَّابٌۭ ٤٤
وَخُذْ
بِیَدِكَ
ضِغْثًا
فَاضْرِبْ
بِّهٖ
وَلَا
تَحْنَثْ ؕ
اِنَّا
وَجَدْنٰهُ
صَابِرًا ؕ
نِّعْمَ
الْعَبْدُ ؕ
اِنَّهٗۤ
اَوَّابٌ
۟

আমি তাকে আদেশ করলাম, ‘এক মুষ্ঠি ঘাস নাও এবং তা দিয়ে আঘাত কর, আর শপথ ভঙ্গ করো না।’[১] নিশ্চয় আমি তাকে পেলাম ধৈর্যশীল। কত উত্তম দাস সে! নিশ্চয় সে ছিল আল্লাহ-অভিমুখী।

[১] অসুস্থ অবস্থায় আইয়ুব (আঃ) তাঁর শুশ্রূষাকারিণী পত্নীর প্রতি কোন কারণে অসন্তুষ্ট হয়ে তাঁকে একশত বেত্রাঘাত করার শপথ করে ফেলেছিলেন। রোগমুক্ত হওয়ার পর আল্লাহ তাআলা তাঁকে নির্দেশ দিলেন যে, একশত ঘাসের গোছা বা ঝাঁটা (অথবা একশত ছড়াবিশিষ্ট খেজুর-কাঁদি) নিয়ে তাকে একবার আঘাত কর, তাহলেই তোমার কসম পূর্ণ হয়ে যাবে। উক্ত বিষয়ে উলামাগণের মাঝে মতভেদ রয়েছে যে, এই সুবিধা শুধু আইয়ুব (আঃ)-এর জন্য, না অন্য কেউ একশত বেত্রাঘাতের পরিবর্তে একশত কাঠির ঝাঁটা মেরে কসম ভঙ্গ করা থেকে বাঁচতে পারবে। কেউ কেউ প্রথম মতকে বেছে নিয়েছেন। আর কেউ কেউ বলেন যে, যদি কসমকারীর নিয়ত কঠিনভাবে মারার না হয়, তবে অনুরূপ আমল করা যাবে। (ফাতহুল ক্বাদীর) একটি হাদীস দ্বারা জানা যায় যে, "নবী (সাঃ) একজন ওজর-ওয়ালা দুর্বল ব্যভিচারীকে একশত বেত্রাঘাতের পরিবর্তে একশত কাঠির ঝাঁটা দ্বারা মেরে শাস্তি দিয়েছিলেন। (আহমাদ, ইবনে মাজাহ) এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, বিশেষ অবস্থাতে এরূপ করা বৈধ।