يسالونك عن الانفال قل الانفال لله والرسول فاتقوا الله واصلحوا ذات بينكم واطيعوا الله ورسوله ان كنتم مومنين ١
يَسْـَٔلُونَكَ عَنِ ٱلْأَنفَالِ ۖ قُلِ ٱلْأَنفَالُ لِلَّهِ وَٱلرَّسُولِ ۖ فَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَأَصْلِحُوا۟ ذَاتَ بَيْنِكُمْ ۖ وَأَطِيعُوا۟ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥٓ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ ١
یَسْـَٔلُوْنَكَ
عَنِ
الْاَنْفَالِ ؕ
قُلِ
الْاَنْفَالُ
لِلّٰهِ
وَالرَّسُوْلِ ۚ
فَاتَّقُوا
اللّٰهَ
وَاَصْلِحُوْا
ذَاتَ
بَیْنِكُمْ ۪
وَاَطِیْعُوا
اللّٰهَ
وَرَسُوْلَهٗۤ
اِنْ
كُنْتُمْ
مُّؤْمِنِیْنَ
۟

লোকে তোমাকে যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সম্বন্ধে প্রশ্ন করে।[১] বল, ‘যুদ্ধলব্ধ সম্পদ আল্লাহ এবং রসূলের।’[২] সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং নিজেদের মধ্যে সদ্ভাব স্থাপন কর; যদি তোমরা বিশ্বাসী হও, তাহলে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য কর। [৩]

[১] أنفال نفل শব্দের বহুবচন। যার অর্থ অতিরিক্ত। নফল ঐ সম্পদকে বলা হয় যা কাফেরদের সাথে যুদ্ধকালীন সময়ে মুসলিমদের হস্তগত হয়। যাকে গনীমতের মালও বলা হয়। আর একে নফল এই জন্য বলা হয় যে, এই মাল ঐ সকল বস্তুর মধ্যে গণ্য যা পূর্বের জাতির জন্য হারাম ছিল, এভাবে উম্মতে মুহাম্মাদীর জন্য এটি একটি অতিরিক্ত হালাল। অথবা এই মালকে নফল এই জন্য বলা হয় যে, জিহাদের যে প্রতিদান তা পরকালে দেওয়া হবে। তার উপর এই মাল একটি অতিরিক্ত জিনিস, যা কখনো কখনো পৃথিবীতেই পাওয়া যায়।

[২] অর্থাৎ, এ ব্যাপারে ফায়সালা করার অধিকারী তাঁরা। আল্লাহর রসূল আল্লাহর আদেশে তা বণ্টন করবে; তোমরা যেভাবে চাও, সেভাবে নয়।

[৩] এর অর্থ এই যে, উপরি উক্ত তিনটি বিষয়ে আমল না করা পর্যন্ত ঈমান পূর্ণাঙ্গ নয়। এখান থেকে তাকওয়া, পরস্পর সদ্ভাব রাখা এবং রসূল (সাঃ)-এর আনুগত্য করার গুরুত্ব স্পষ্ট হয়। বিশেষ করে গনীমতের মাল বণ্টনের সময় এই তিনটি বিষয়ের উপর আমল অত্যন্ত জরুরী। মাল বণ্টনের সময় আপোসে বিশৃংখলা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বিদ্যমান। এ জন্য এখানে পরস্পর সদ্ভাব বজায় রাখার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। মাল বণ্টনে নয়-ছয় ও খিয়ানতেরও আশংকা থাকে। সেই কারণে তাকওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে। এসব সত্ত্বেও যদি কোন দুর্বলতা থেকে যায়, তাহলে তা দূর করার একমাত্র উপায় আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য।