يوم نقول لجهنم هل امتلات وتقول هل من مزيد ٣٠
يَوْمَ نَقُولُ لِجَهَنَّمَ هَلِ ٱمْتَلَأْتِ وَتَقُولُ هَلْ مِن مَّزِيدٍۢ ٣٠
یَوْمَ
نَقُوْلُ
لِجَهَنَّمَ
هَلِ
امْتَلَاْتِ
وَتَقُوْلُ
هَلْ
مِنْ
مَّزِیْدٍ
۟

সেদিন আমি জাহান্নামকে জিজ্ঞেস করব, ‘তুমি কি পূর্ণ হয়ে গেছ?’ জাহান্নাম বলবে, ‘আরো আছে কি?’[১]

[১] মহান আল্লাহ বলেছেন, {لَأَمْلَأَنَّ جَهَنَّمَ مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ} "আমি অবশ্যই জাহান্নামকে মানুষ ও জ্বিন দিয়ে ভর্তি করব।" (সূরা সাজদাহ ৩২:১৩ আয়াত) এই প্রতিশ্রুতি যখন পূরণ করা হবে এবং মহান আল্লাহ কাফের জ্বিন ও মানুষকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করে দেবেন, তখন তিনি জাহান্নামকে জিজ্ঞেস করবেন, তুই ভরে গেছিস, না ভরিস নি? সে উত্তর করবে, আরো আছে কি? অর্থাৎ, যদিও আমি ভরে গেছি, কিন্তু হে আল্লাহ! তোমার শত্রুদের জন্য আমার উদরে আরো ঢুকার মত স্থান আছে। জাহান্নামের সাথে আল্লাহর এই কথোপকথন এবং জাহান্নামের উত্তর প্রদান আল্লাহর ক্ষমতার কাছে মোটেই কোন (অসম্ভব) ব্যাপার নয়। হাদীসেও এসেছে যে, "আগুনে মানুষদেরকে নিক্ষেপ করা হবে, আর জাহান্নাম বলবে যে, ((هَلْ مِن مَّزِيْدٍ)) (আরো আছে কি?) এমন কি জাহান্নামে মহান আল্লাহ তাঁর পা রেখে দেবেন, ফলে জাহান্নাম বলবে, قَط قَط (বাস্ বাস্)। (বুখারীঃ তাফসীর সূরা ক্বা-ফ) পক্ষান্তরে জান্নাত সম্পর্কে এসেছে যে, সেখানে তখনও স্থান খালি থাকবে। তাই তার জন্য আল্লাহ নতুন সম্প্রদায় সৃষ্টি করবেন, যার দ্বারা তিনি তা পূর্ণ করবেন। (মুসলিমঃ জান্নাত অধ্যায়)