افمن زين له سوء عمله فراه حسنا فان الله يضل من يشاء ويهدي من يشاء فلا تذهب نفسك عليهم حسرات ان الله عليم بما يصنعون ٨
أَفَمَن زُيِّنَ لَهُۥ سُوٓءُ عَمَلِهِۦ فَرَءَاهُ حَسَنًۭا ۖ فَإِنَّ ٱللَّهَ يُضِلُّ مَن يَشَآءُ وَيَهْدِى مَن يَشَآءُ ۖ فَلَا تَذْهَبْ نَفْسُكَ عَلَيْهِمْ حَسَرَٰتٍ ۚ إِنَّ ٱللَّهَ عَلِيمٌۢ بِمَا يَصْنَعُونَ ٨
اَفَمَنْ
زُیِّنَ
لَهٗ
سُوْٓءُ
عَمَلِهٖ
فَرَاٰهُ
حَسَنًا ؕ
فَاِنَّ
اللّٰهَ
یُضِلُّ
مَنْ
یَّشَآءُ
وَیَهْدِیْ
مَنْ
یَّشَآءُ ۖؗ
فَلَا
تَذْهَبْ
نَفْسُكَ
عَلَیْهِمْ
حَسَرٰتٍ ؕ
اِنَّ
اللّٰهَ
عَلِیْمٌۢ
بِمَا
یَصْنَعُوْنَ
۟

কাকেও যদি তার মন্দ কাজ শোভন করে দেখানো হয় এবং সে একে উত্তম মনে করে,[১] সে ব্যক্তি কি তার সমান (যে সৎকাজ করে)? আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বিভ্রান্ত করেন এবং যাকে ইচ্ছা সৎপথে পরিচালিত করেন।[২] অতএব তুমি ওদের জন্য আক্ষেপ করে নিজেকে ধ্বংস করো না।[৩] নিশ্চয় ওরা যা করে, আল্লাহ তা খুব জানেন। [৪]

[১] যেমন কাফের ও পাপাচারীরা, কুফর ও শিরক এবং ফিসক ও পাপাচরণ করে, অথচ মনে মনে ভাবে যে, তারাই উত্তম কর্ম করছে। অতএব ঐ ব্যক্তি যাকে আল্লাহ তাআলা পথভ্রষ্ট করে দিয়েছেন, তাকে বাঁচানোর জন্য তোমার নিকট কোন সুব্যবস্থা আছে কি? অথবা সে কি ঐ ব্যক্তির মত যাকে আল্লাহ তাআলা সৎপথ প্রদর্শন করেছেন? উত্তর নাবাচক, না -- অবশ্যই না।

[২] আল্লাহ তাআলা নিজ ইনসাফ, ন্যায়পরায়ণতা ও নিয়ম-নীতি অনুযায়ী ঐ ব্যক্তিকে পথভ্রষ্ট করেন, যে নিরন্তরভাবে আপন কর্ম দ্বারা নিজেকে তার উপযুক্ত বানিয়ে নেয়। পক্ষান্তরে নিজ দয়া ও অনুগ্রহে ঐ ব্যক্তিকে সৎপথ প্রদর্শন করেন, যে সৎপথ অন্বেষণকারী হয়।

[৩] কারণ, আল্লাহ তাআলার সকল কর্ম হিকমত ও পূর্ণ ইলমের সাথে সম্পাদিত হয়। অতএব কারোর পথভ্রষ্টতার জন্য তুমি এমন অনুতপ্ত হবে না যে, নিজেকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেবে।

[৪] অর্থাৎ, আল্লাহর কাছে তাদের কোন কথা বা কর্ম গুপ্ত নয়। উদ্দেশ্য হল, তাদের সাথে আল্লাহ তাআলার ব্যাপারটা একজন সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত এবং একজন বিজ্ঞের মত। সাধারণ এমন বাদশাদের মত নয়, যারা নিজের স্বাধীনতাকে ইচ্ছামত ব্যবহার করে, কখনো সালাম পাওয়ার পরেও অসন্তুষ্ট হয়, আবার কখনো কটুবাক্যের বদলে উপঢৌকন দিয়ে থাকে।