ان تدعوهم لا يسمعوا دعاءكم ولو سمعوا ما استجابوا لكم ويوم القيامة يكفرون بشرككم ولا ينبيك مثل خبير ١٤
إِن تَدْعُوهُمْ لَا يَسْمَعُوا۟ دُعَآءَكُمْ وَلَوْ سَمِعُوا۟ مَا ٱسْتَجَابُوا۟ لَكُمْ ۖ وَيَوْمَ ٱلْقِيَـٰمَةِ يَكْفُرُونَ بِشِرْكِكُمْ ۚ وَلَا يُنَبِّئُكَ مِثْلُ خَبِيرٍۢ ١٤
اِنْ
تَدْعُوْهُمْ
لَا
یَسْمَعُوْا
دُعَآءَكُمْ ۚ
وَلَوْ
سَمِعُوْا
مَا
اسْتَجَابُوْا
لَكُمْ ؕ
وَیَوْمَ
الْقِیٰمَةِ
یَكْفُرُوْنَ
بِشِرْكِكُمْ ؕ
وَلَا
یُنَبِّئُكَ
مِثْلُ
خَبِیْرٍ
۟۠

তোমরা তাদের আহবান করলে তারা তোমাদের আহবান শুনবে না[১] এবং শুনলেও তোমাদের আহবানে সাড়া দেবে না।[২] তোমরা তাদেরকে যে অংশী করছ, তা ওরা কিয়ামতের দিন অস্বীকার করবে। [৩] আর সর্বজ্ঞ (আল্লাহ)র ন্যায় কেউই তোমাকে অবহিত করতে পারে না।[৪]

[১] অর্থাৎ, যদি তোমরা কষ্টের সময় তাদেরকে ডাক, তবে তারা তোমাদের ডাক শুনবেই না, কারণ তারা পাথর জাতীয় বস্তু অথবা মাটির গর্ভে সমাধিস্থ (জাগতিক সংস্পর্শের বাইরে)।[২] অর্থাৎ, যদি তারা শুনতেও পায় তবুও কোন লাভ নেই, কারণ তারা তোমাদের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম নয়।[৩] এবং বলবে (مَا كُنْتُمْ إِيَّانَا تَعْبُدُونَ) অর্থাৎ, তোমরা আমাদের ইবাদত করতে না। (সূরা ইউনুস ১০:২৮ আয়াত) (إِنْ كُنَّا عَنْ عِبَادَتِكُمْ لَغَافِلِينَ) অর্থাৎ, আমরা তো তোমাদের ইবাদত থেকে উদাসীন ছিলাম।" (সূরা ইউনুস ১০:২৯ আয়াত) এই আয়াত থেকে এটাও বোঝা যায় যে, আল্লাহ ছাড়া যাদের ইবাদত করা হয়, তারা সকলে পাথরের নিথর মূর্তিই নয়, বরং তাতে জ্ঞানসম্পন্ন (ফিরিশতা, জ্বিন, শয়তান এবং নেক মানুষ)ও আছে। তবেই না এইভাবে তারা অস্বীকার করবে। আর এটাও জানা গেল যে, প্রয়োজন পূরণের আশায় তাদেরকে আহবান করা শিরক।[৪] কারণ, তাঁর মত পরিপূর্ণ ইলম কারোর নিকট নেই। তিনিই সকল বস্তুর রহস্য ও প্রকৃতত্ব সম্পর্কে পূর্ণ খবর রাখেন। আর ঐ সকল উপাস্য যাদেরকে ডাকা হয়, তাদের যে কোন প্রকার এখতিয়ার বা ক্ষমতা নেই, তারা যে কারো ডাকে সাড়া দিতে পারে না এবং কিয়ামতের দিন তারা যে তাদের উপাসনার কথা অস্বীকার করবে -- এ সব কিছু উক্ত ইলমের শামিল।