اَلْخَبِیْثٰتُ
لِلْخَبِیْثِیْنَ
وَالْخَبِیْثُوْنَ
لِلْخَبِیْثٰتِ ۚ
وَالطَّیِّبٰتُ
لِلطَّیِّبِیْنَ
وَالطَّیِّبُوْنَ
لِلطَّیِّبٰتِ ۚ
اُولٰٓىِٕكَ
مُبَرَّءُوْنَ
مِمَّا
یَقُوْلُوْنَ ؕ
لَهُمْ
مَّغْفِرَةٌ
وَّرِزْقٌ
كَرِیْمٌ
۟۠

দুশ্চরিত্র নারী দুশ্চরিত্র পুরুষের জন্য; দুশ্চরিত্র পুরুষ দুশ্চরিত্র নারীর জন্য; সচ্চরিত্র নারী সচ্চরিত্র পুরুষের জন্য এবং সচ্চরিত্র পুরুষ সচ্চরিত্র নারীর জন্য (উপযুক্ত)।[১] এ (সচ্চরিত্র)দের সম্বন্ধে লোকে যা বলে এরা তা হতে পবিত্র। এদের জন্য আছে ক্ষমা এবং সম্মানজনক জীবিকা। [২]

[১] এর একটি অর্থ যা অনুবাদে স্পষ্ট করা হয়েছে। সেই অনুসারে এটি "ব্যভিচারী কেবল ব্যভিচারিণীকে বিবাহ করবে" (সূরা নূর ২৪:৩ আয়াত) এর সমর্থক এবং الخَبِيثُون والخَبِيثَات বলতে দুশ্চরিত্র ও ব্যভিচারী নর-নারী এবং الطَّيبَون والطَّيِّبَات বলতে সচ্চরিত্র ও পবিত্র নারী-পুরুষকে বুঝানো হয়েছে। আর দ্বিতীয় অর্থ হল যে, অপবিত্র কথাবার্তা অপবিত্র পুরুষদের জন্য; অপবিত্র পুরুষ অপবিত্র কথাবার্তার জন্য এবং পবিত্র কথাবার্তা পবিত্র পুরুষদের জন্য; পবিত্র পুরুষ পবিত্র কথাবার্তার জন্য। উদ্দেশ্য হল, অপবিত্র ও নোংরা কথাবার্তা সেই নরনারী বলে থাকে, যারা অপবিত্র ও নোংরা। আর পবিত্র ও উত্তম কথাবার্তা বলা পবিত্র ও উত্তম নর-নারীর অভ্যাস। এতে ইঙ্গিত রয়েছে যে, মা আয়েশা (রাঃ) -এর প্রতি অপবিত্রতা আরোপকারী নিজেই অপবিত্র এবং তাঁকে পবিত্রাজ্ঞানকারী পবিত্র মানুষ।[২] এর অর্থ হল জান্নাতের জীবিকা যা মু'মিনদের প্রাপ্য।