যারা বিশ্বাসীদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে, তাদের জন্য আছে ইহলোকে ও পরলোকে মর্মন্তুদ শাস্তি। [১] আর আল্লাহ জানেন, তোমরা জান না।
[১] فَاحِشَة শব্দের অর্থ হলঃ নির্লজ্জতা, অশ্লীলতা। তবে কুরআনে ব্যভিচারকেও فًاحِشَة (অশ্লীলতা) বলে গণ্য করা হয়েছে। (বানী ইস্রাঈলঃ ৩২) আর এখানে ব্যভিচারের একটি মিথ্যা খবর প্রচার করাকেও আল্লাহ অশ্লীলতা বলে অভিহিত করেছেন এবং একে দুনিয়া ও আখেরাতে কঠিন শাস্তির কারণ হিসাবে গণ্য করেছেন। যাতে অশ্লীলতা সম্পর্কে ইসলামের ভূমিকা এবং আল্লাহ তাআলার ইচ্ছার অনুমান করা যেতে পারে যে, কেবলমাত্র অশ্লীলতার একটি মিথ্যা খবর প্রচার করা আল্লাহর নিকট এত বড় অপরাধ, তাহলে যারা দিবারাত্রি মুসলিম সমাজে সংবাদপত্র, রেডিও, টি-ভি, ভিডিও, সিডি, ইন্টারনেট প্রভৃতির মাধ্যমে যে অশ্লীলতা ছড়াচ্ছে ও ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে, তারা আল্লাহর নিকট কত বড় অপরাধী বলে গণ্য হবে এবং এই সমস্ত কর্মক্ষেত্রের কর্মচারিগণ কিভাবে অশ্লীলতা প্রসারের অপরাধ হতে অব্যাহতি পাবে? এমনি ভাবে যারা নিজেদের বাড়িতে টি-ভি রেখে নিজের পরিবার ও ভবিষ্যৎ বংশধরদের মধ্যে অশ্লীলতা ছড়াচ্ছে, তারাই-বা অশ্লীলতা প্রসারের অপরাধী কেন হবে না? ঠিক অনুরূপভাবে অশ্লীলতা ও ইসলাম-বিরোধী কথায় পরিপূর্ণ দৈনিক সংবাদপত্র (বা মাসিক পত্র-পত্রিকা) বাড়ির ভিতর প্রবেশ করাও অশ্লীলতা প্রসারের একটি কারণ। এটিও আল্লাহর নিকট অপরাধ বলে গণ্য হতে পারে। হায়! যদি মুসলিমরা নিজেদের কর্তব্য অনুভব করত এবং অশ্লীলতার বন্যাকে বাধা দেওয়ার সাধ্যমত চেষ্টা কর