من دون الله قالوا ضلوا عنا بل لم نكن ندعو من قبل شييا كذالك يضل الله الكافرين ٧٤
مِن دُونِ ٱللَّهِ ۖ قَالُوا۟ ضَلُّوا۟ عَنَّا بَل لَّمْ نَكُن نَّدْعُوا۟ مِن قَبْلُ شَيْـًۭٔا ۚ كَذَٰلِكَ يُضِلُّ ٱللَّهُ ٱلْكَـٰفِرِينَ ٧٤
مِنْ
دُوْنِ
اللّٰهِ ؕ
قَالُوْا
ضَلُّوْا
عَنَّا
بَلْ
لَّمْ
نَكُنْ
نَّدْعُوْا
مِنْ
قَبْلُ
شَیْـًٔا ؕ
كَذٰلِكَ
یُضِلُّ
اللّٰهُ
الْكٰفِرِیْنَ
۟

আল্লাহকে ছেড়ে?’[১] ওরা বলবে, ‘ওরা তো আমাদের নিকট থেকে অদৃশ্য হয়েছে;[২] বরং পূর্বে আমরা এমন কিছুকে আহবান করিনি, যার কোন সত্তা ছিল।’[৩] এভাবে আল্লাহ অবিশ্বাসীদেরকে বিভ্রান্ত করে থাকেন। [৪]

[১] তারা কি আজ তোমাদের সাহায্য করতে পারবে?

[২] অর্থাৎ, জানি না তারা কোথায় চলে গেছে, তারা আমাদের সাহায্য আর কি করবে?

[৩] ভুল স্বীকার করার পর তাদের ইবাদত করার কথাই অস্বীকার করবে। যেমন, অন্যত্র বলেছেন, ﴿وَاللَه رَبِّنَا مَا كُنَّا مُشْرِكِينَ﴾ অর্থাৎ, (তারা বলবে) আল্লাহর শপথ! আমরা তো কাউকেও শরীক করতাম না। (সূরা আনআম ৬:২৩ আয়াত) বলা হয়েছে যে, এটা মূর্তিগুলোর অস্তিত্ব ও তাদের ইবাদতের অস্বীকৃতি নয়, বরং এ হল এই কথার স্বীকারোক্তি যে, তাদের ইবাদত বাতিল ছিল। কারণ, সেখানে তাদের কাছে এ কথা পরিষ্কার হয়ে যাবে যে, তারা এমন জিনিসের ইবাদত করত, যারা না শুনতে পারে, না দেখতে পারে এবং না উপকার করতে পারে, না অপকার। (ফাতহুল ক্বাদীর) আর দ্বিতীয় অর্থও পরিষ্কার। আর তা হল, তারা শিরক করার কথা একেবারে অস্বীকার করবে।

[৪] অর্থাৎ, এই মিথ্যাজ্ঞানকারীদের মত মহান আল্লাহ কাফেদেরকেও বিভ্রান্ত করেন। অর্থাৎ, অব্যাহতভাবে মিথ্যা ভাবতে থাকা ও কুফরী করা এমন জিনিস যে, তার দ্বারা মানুষের অন্তর কালো হয়ে যায় এবং তাতে জং ধরে যায়। অতঃপর তারা সত্য গ্রহণ করার তাওফীক লাভ করা থেকে চিরতরে বঞ্চিত হয়ে যায়।