فلا تهنوا وتدعوا الى السلم وانتم الاعلون والله معكم ولن يتركم اعمالكم ٣٥
فَلَا تَهِنُوا۟ وَتَدْعُوٓا۟ إِلَى ٱلسَّلْمِ وَأَنتُمُ ٱلْأَعْلَوْنَ وَٱللَّهُ مَعَكُمْ وَلَن يَتِرَكُمْ أَعْمَـٰلَكُمْ ٣٥
فَلَا
تَهِنُوْا
وَتَدْعُوْۤا
اِلَی
السَّلْمِ ۖۗ
وَاَنْتُمُ
الْاَعْلَوْنَ ۖۗ
وَاللّٰهُ
مَعَكُمْ
وَلَنْ
یَّتِرَكُمْ
اَعْمَالَكُمْ
۟

সুতরাং তোমরা হীনবল হয়ো না এবং সন্ধির প্রস্তাব করো না; যখন তোমরাই প্রবল[১] এবং আল্লাহ তোমাদের সঙ্গে আছেন। [২] আর তিনি তোমাদের কর্মফল কখনো নষ্ট করবেন না। [৩]

[১] অর্থ হল, তোমরা যখন সংখ্যা ও শক্তি-সামর্থ্যের দিক দিয়ে শত্রুদের উপর প্রবল ও তাদের থেকে অনেক উন্নত, তখন এমতাবস্থায় কাফেরদের সাথে সন্ধির প্রস্তাব ও দুর্বলতা প্রদর্শন করো না। বরং কুফরীর উপর এমন কড়া আঘাত হান, যেন আল্লাহর দ্বীন উঁচু হয়ে যায়। প্রবল ও উন্নত থাকা অবস্থায় কুফরীর সাথে সন্ধিতে আসার অর্থ হবে, কুফরীর প্রভাব-প্রতিক্রিয়াকে আরো বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করা। আর এটা হল অতি বড় অন্যায়। তবে এর অর্থ এও নয় যে, কাফেরদের সাথে সন্ধি করার অনুমতি নেই। এর অনুমতি অবশ্যই আছে, কিন্তু সব সময় নয়। কেবল সেই সময় এর অনুমতি আছে, যখন মুসলিমরা সংখ্যায় এবং উপায়-উপকরণের দিক থেকে দুর্বল হবে। এ রকম অবস্থায় যুদ্ধ করার চেয়ে সন্ধি করাতেই লাভ বেশী। যাতে মুসলিমরা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করে নেয়। যেমন স্বয়ং নবী করীম (সাঃ)ও মক্কার কাফেরদের সাথে দশ বছরের জন্য যুদ্ধ-বিরতির সন্ধি-চুক্তি করেছিলেন।

[২] এতে রয়েছে মুসলিমদের জন্য শত্রুর উপর জয়যুক্ত হওয়ার ও সাহায্য লাভের বড়ই সুসংবাদ। যার সাথে থাকেন আল্লাহ, তাকে কে পরাজিত করতে পারে?

[৩] বরং তিনি তার পরিপূর্ণ বদলা দেবেন এবং তাতে কোন কমি করবেন না।