وانذرهم يوم الحسرة اذ قضي الامر وهم في غفلة وهم لا يومنون ٣٩
وَأَنذِرْهُمْ يَوْمَ ٱلْحَسْرَةِ إِذْ قُضِىَ ٱلْأَمْرُ وَهُمْ فِى غَفْلَةٍۢ وَهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ ٣٩
وَاَنْذِرْهُمْ
یَوْمَ
الْحَسْرَةِ
اِذْ
قُضِیَ
الْاَمْرُ ۘ
وَهُمْ
فِیْ
غَفْلَةٍ
وَّهُمْ
لَا
یُؤْمِنُوْنَ
۟

(হে রসূল!) তুমি তাদেরকে সতর্ক করে দাও পরিতাপের দিন সম্বন্ধে,[১] যেদিন সকল সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে যাবে; [২] অথচ (এখন) তারা উদাসীন আছে এবং তারা বিশ্বাস করে না।

[১] কিয়ামতের দিনকে আফসোস তথা অনুতাপের দিন বলার কারণ এই যে, সেদিন সকলেই আফসোস করবে। যারা পাপী তারা এই বলে অনুতাপ করবে যে, 'হায়! যদি আমরা পাপ না করতাম।' আর যারা সৎকর্মপরায়ণ তারা এই জন্য অনুতাপ করবে যে, 'হায়! আরো বেশী সৎকর্ম কেন করিনি?'

[২] অর্থাৎ হিসাব-নিকাশের পর আমল-নামা গুটিয়ে নেওয়া হবে এবং যারা জান্নাতবাসী তারা জান্নাতে ও যারা জাহান্নামবাসী তারা জাহান্নামে প্রবেশ করবে। হাদীসে এসেছে যে, সেদিন মৃত্যুকে এক ভেড়ার আকৃতিতে আনা হবে এবং জান্নাত ও জাহান্নামের মাঝখানে রেখে জান্নাতবাসী ও জাহান্নামবাসী সকলকেই জিজ্ঞাসা করা হবে, 'এটা কি?' তারা বলবে, 'এটা হচ্ছে মৃত্যু।' তারপর তাদের সম্মুখেই তাকে যবেহ করে দেওয়া হবে এবং ঘোষণা করা হবে, 'হে জান্নাতবাসীগণ! তোমরা এবার জান্নাতে চিরস্থায়ী বাস করবে; কখনই মৃত্যু আসবে না। আর হে জাহান্নাম বাসীরা! তোমরা চিরস্থায়ী জাহান্নামে থাকবে। কখনই মৃত্যু আসবে না।' (সহীহ বুখারী, তফসীর সূরা মারয়্যাম, মুসলিম, জান্নাত অধ্যায়)