ونرثه ما يقول وياتينا فردا ٨٠
وَنَرِثُهُۥ مَا يَقُولُ وَيَأْتِينَا فَرْدًۭا ٨٠
وَّنَرِثُهٗ
مَا
یَقُوْلُ
وَیَاْتِیْنَا
فَرْدًا
۟

সে যার কথা বলে, তা থাকবে আমার অধিকারে এবং সে আমার নিকট একাকী আসবে।[১]

[১] এই আয়াতগুলোর অবতীর্ণ হওয়ার কারণ হিসাবে বলা হয় যে, আমর বিন আ'স (রাঃ)-এর পিতা আ'স বিন ওয়ায়েল ইসলামের চরম শত্রু ছিল। তার কাছে খাব্বাব বিন আরাত্তের কিছু ঋণ পাওনা ছিল। তিনি লোহার (কামারের) কাজ করতেন। খাব্বাব যখন ঋণ পরিশোধ করার ব্যাপারে তাগাদা করলেন, তখন আ'স বলল, 'যতক্ষণ তুমি মুহাম্মাদকে অস্বীকার না করবে ততক্ষণ আমি তোমার ঋণ পরিশোধ করব না।' খাব্বাব বললেন, 'আমি এ কাজ তো তুমি মরে গিয়ে পুনর্জীবিত হওয়ার পরেও করব না।' সে বলল, 'আচ্ছা যখন আমাকে মরার পর আবার জীবিত হতে হবে, তখন আমাকে ধন-সম্পদ ও সন্তানাদি দেওয়া হবে, তখন আমি তোমার ঋণ শোধ করে দেব।' (বুখারী, মুসলিম) আল্লাহ বলেন, সে যে এই দাবী করছে, তার কাছে কি গায়বের জ্ঞান আছে যে, ওখানে তাকে ধন ও সন্তান দান করা হবে? অথবা আল্লাহ কি তাকে কোন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন? এমন কখনই না। বরং তার কথায় রয়েছে অহংকার ও আল্লাহর আয়াতসমূহের ব্যাপারে উপহাস। এ ব্যক্তি যে মাল ও সন্তানের কথা বলছে তার উত্তরাধিকারী তো আমিই। অর্থাৎ মৃত্যুর পর পর সে সমস্ত হতে তার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে এবং আমার নিকট একাকী আসবে; তখন সাথে না মাল থাকবে, না সন্তান না কোন সাঙ্গপাঙ্গ। বরং থাকবে আগুনের শাস্তি; যা তার জন্য ও তার মত অন্য লোকদের জন্য আমি বৃদ্ধি করতে থাকব।