فاتخذت من دونهم حجابا فارسلنا اليها روحنا فتمثل لها بشرا سويا ١٧
فَٱتَّخَذَتْ مِن دُونِهِمْ حِجَابًۭا فَأَرْسَلْنَآ إِلَيْهَا رُوحَنَا فَتَمَثَّلَ لَهَا بَشَرًۭا سَوِيًّۭا ١٧
فَاتَّخَذَتْ
مِنْ
دُوْنِهِمْ
حِجَابًا ۪۫
فَاَرْسَلْنَاۤ
اِلَیْهَا
رُوْحَنَا
فَتَمَثَّلَ
لَهَا
بَشَرًا
سَوِیًّا
۟

অতঃপর তাদের হতে সে নিজেকে পর্দা করল;[১] অতঃপর আমি তার নিকট আমার রূহ (জিবরীল)কে পাঠালাম, সে তার নিকট পূর্ণ মানুষ আকারে আত্মপ্রকাশ করল। [২]

[১] লোকালয় হতে পৃথক হয়ে নিরালায় আসা ও পর্দা করা আল্লাহর ইবাদতের উদ্দেশ্যে ছিল, যাতে তাঁকে কেউ দেখতে না পায় তথা মনে একাগ্রতা সৃষ্টি হয়। অথবা তা মাসিক হতে পবিত্রতা অর্জনের জন্য ছিল। আর পূর্ব দিকের স্থান বলতে বায়তুল মাকদিসের পূর্ব দিককে বুঝানো হয়েছে।

[২] রূহ বলতে জিবরীল (আঃ)। যাকে পূর্ণ মনুষ্য আকৃতিতে মারয়্যামের নিকট পাঠানো হয়েছিল। যখন মারয়্যাম দেখলেন যে, এক ব্যক্তি বিনা বাধায় ভিতরে প্রবেশ করে ফেলেছে, তখন তিনি ভয় পেয়ে গেলেন, হয়তো বা সে কোন অসৎ উদ্দেশ্যে প্রবেশ করেছে। জিবরীল (আঃ) বললেন, আমি তা নই, যা তুমি ধারণা করছ। আমি তোমার প্রতিপালকের প্রেরিত দূত। আর আমি তোমাকে এই সুসংবাদ দিতে এসেছি যে, আল্লাহ তাআলা তোমাকে এক পুত্র-সন্তান দান করবেন। কোন কোন কিরাআতে لِيهَبَ প্রথম পুরুষের শব্দ আছে। কিন্তু (এখানে যেমন আছে) জিবরীল (আঃ) উত্তম পুরুষের শব্দ لأَهَب ব্যবহার করেছেন। যেহেতু বাহ্যিক হেতু স্বরূপ জিবরীল (আঃ) মারয়্যামের কামিসের বুকের উপর খোলা অংশে ফুঁক মেরে দিলেন, আর আল্লাহর হুকুমে তাঁর গর্ভ সঞ্চার হল। এই কারণেই পুত্র দানের সম্বন্ধ নিজের দিকে জুড়েছেন। কিংবা এর অর্থ এও হতে পারে যে, এ কথাটি স্বয়ং আল্লাহর। জিবরীল (আঃ) শুধু তা হুবহু নকল করেছেন; অর্থাৎ, পরিপূর্ণ বাক্য হবে এইরূপঃ أرسَلَنِي يَقُولُ لَكِ أرسَلتُ رَسُولِي إِلَيكِ لأَهَبَ لَكِ আল্লাহ আমাকে (তোমার নিকট) প্রেরণ করেছেন; তিনি বলেন, আমি আমার দূত তোমার নিকট এই সংবাদ দেওয়ার জন্য পাঠিয়েছি যে, আমি তোমাকে এক পবিত্র পুত্র দান করব। আর এই শ্রেণীর ঊহ্য ও অনুক্ত কথা কুরআনের অনেক স্থানে আছে।