ولو انما في الارض من شجرة اقلام والبحر يمده من بعده سبعة ابحر ما نفدت كلمات الله ان الله عزيز حكيم ٢٧
وَلَوْ أَنَّمَا فِى ٱلْأَرْضِ مِن شَجَرَةٍ أَقْلَـٰمٌۭ وَٱلْبَحْرُ يَمُدُّهُۥ مِنۢ بَعْدِهِۦ سَبْعَةُ أَبْحُرٍۢ مَّا نَفِدَتْ كَلِمَـٰتُ ٱللَّهِ ۗ إِنَّ ٱللَّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌۭ ٢٧
وَلَوْ
اَنَّمَا
فِی
الْاَرْضِ
مِنْ
شَجَرَةٍ
اَقْلَامٌ
وَّالْبَحْرُ
یَمُدُّهٗ
مِنْ
بَعْدِهٖ
سَبْعَةُ
اَبْحُرٍ
مَّا
نَفِدَتْ
كَلِمٰتُ
اللّٰهِ ؕ
اِنَّ
اللّٰهَ
عَزِیْزٌ
حَكِیْمٌ
۟

পৃথিবীর সমস্ত বৃক্ষ যদি কলম হয় এবং এ যে সমুদ্র এর সাথে যদি আরও সাত সমুদ্র যুক্ত হয়ে কালি হয়, তবুও আল্লাহর বাণী (লিখে) শেষ হবে না।[১] নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।

[১] এই আয়াতে আল্লাহর মহত্ত্ব, গর্ব, প্রতাপ, তাঁর সুন্দর নামাবলী ও সুউচ্চ গুণাবলী এবং তাঁর মহত্ত্বের প্রতি ইঙ্গিত বহনকারী সেই অফুরন্ত বাণীর কথা উল্লেখ হয়েছে; যা কেউ পরিপূর্ণরূপে গণনা করতে, জানতে বা তার প্রকৃতত্বের গভীরতায় পৌঁছতে সক্ষম নয়। যদি কেউ তাঁর সেই বাণী গণনা করতে বা লিখতে চায়, তাহলে সারা পৃথিবীর সমস্ত গাছপালার তৈরী কলম ক্ষয় হয়ে যাবে, সাগরসমূহের পানির তৈরী কালি শেষ হয়ে যাবে; কিন্তু মহান আল্লাহ সম্পর্কিত জ্ঞান, তাঁর সৃষ্টি ও কারিগরির বিস্ময়কর নিপুণতা এবং তাঁর মহত্ত্ব ও মর্যাদার কথা লিপিবদ্ধ করে শেষ করা সম্ভব নয়। সাত সমুদ্র অতিশয়োক্তি হিসাবে বলা হয়েছে, নচেৎ নির্দিষ্ট সংখ্যা উদ্দেশ্য নয়। কারণ আল্লাহর বাণী ও নিদর্শনাবলী গণনা করে শেষ করা সম্ভবই নয়। (ইবনে কাসীর) এই একই বিষয়ীভুক্ত আয়াতের তফসীর সূরা কাহফের শেষাংশে করা হয়েছে।