ووصينا الانسان بوالديه حملته امه وهنا على وهن وفصاله في عامين ان اشكر لي ولوالديك الي المصير ١٤
وَوَصَّيْنَا ٱلْإِنسَـٰنَ بِوَٰلِدَيْهِ حَمَلَتْهُ أُمُّهُۥ وَهْنًا عَلَىٰ وَهْنٍۢ وَفِصَـٰلُهُۥ فِى عَامَيْنِ أَنِ ٱشْكُرْ لِى وَلِوَٰلِدَيْكَ إِلَىَّ ٱلْمَصِيرُ ١٤
وَوَصَّیْنَا
الْاِنْسَانَ
بِوَالِدَیْهِ ۚ
حَمَلَتْهُ
اُمُّهٗ
وَهْنًا
عَلٰی
وَهْنٍ
وَّفِصٰلُهٗ
فِیْ
عَامَیْنِ
اَنِ
اشْكُرْ
لِیْ
وَلِوَالِدَیْكَ ؕ
اِلَیَّ
الْمَصِیْرُ
۟

আমি তো মানুষকে তার পিতা-মাতার প্রতি সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছি।[১] জননী কষ্টের পর কষ্ট বরণ করে সন্তানকে গর্ভে ধারণ করে[২] এবং তার স্তন্যপান ছাড়াতে দু বছর অতিবাহিত হয়।[৩] সুতরাং তুমি আমার প্রতি ও তোমার পিতা-মাতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। আমারই নিকট (সকলের) প্রত্যাবর্তন।

[১] তাওহীদ গ্রহণ (শিরক বর্জন) ও আল্লাহর ইবাদতের সাথে সাথে পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করার তাকীদপূর্ণ আদেশের জন্য উক্ত নসীহতের গুরুত্ব স্পষ্ট।

[২] উদ্দেশ্য এই যে, মাতৃগর্ভে বাচ্চা যত বাড়ে, মায়ের উপর কষ্টের বোঝা তত বাড়তে থাকে, যার ফলে মা দুর্বল থেকে দুর্বলতর হতে থাকে। মায়ের কষ্টের কথা উল্লেখে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে, পিতা-মাতার অধিকার আদায় করার সময় মাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। যেমন হাদীসেও সে কথা বর্ণিত হয়েছে।

[৩] এতে বুঝা যায় যে, শিশুকে দুধ পান করানোর সময় হল দুই বছর, তার অধিক নয়।