واذ قال لقمان لابنه وهو يعظه يا بني لا تشرك بالله ان الشرك لظلم عظيم ١٣
وَإِذْ قَالَ لُقْمَـٰنُ لِٱبْنِهِۦ وَهُوَ يَعِظُهُۥ يَـٰبُنَىَّ لَا تُشْرِكْ بِٱللَّهِ ۖ إِنَّ ٱلشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيمٌۭ ١٣
وَاِذْ
قَالَ
لُقْمٰنُ
لِابْنِهٖ
وَهُوَ
یَعِظُهٗ
یٰبُنَیَّ
لَا
تُشْرِكْ
بِاللّٰهِ ؔؕ
اِنَّ
الشِّرْكَ
لَظُلْمٌ
عَظِیْمٌ
۟

(স্মরণ কর) যখন লুকমান উপদেশচ্ছলে তার পুত্রকে বলেছিল, ‘হে বৎস! আল্লাহর কোন অংশী করো না।[১] আল্লাহর অংশী করা তো চরম অন্যায়।’ [২]

[১] আল্লাহ্ তাআলা লুকমান হাকীমের সর্বপ্রথম অসিয়ত এই উল্লেখ করেছেন যে, তিনি নিজ ছেলেকে শিরক করতে নিষেধ করেছিলেন। যাতে পরিষ্কার হয়ে যায় যে, পিতা-মাতার কর্তব্য হল, নিজেদের সন্তানদেরকে শিরক থেকে বাঁচানোর সর্বপ্রথম ও সর্বাধিক বেশী চেষ্টা করা।

[২] অনেকের নিকট এ বাক্যাংশটি লুকমান হাকীমের উক্তি। আবার অনেকে এটিকে আল্লাহর উক্তি বলেছেন এবং তার সমর্থনে (الَّذِينَ آمَنُوا وَلَمْ يَلْبِسُوا إِيمَانَهُمْ بِظُلْمٍ) আয়াতটি অবতীর্ণ সম্পর্কে বর্ণিত হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। যাতে সাহাবাগণ বললেন, 'আমাদের কে আবার যুলম করে না?' সুতরাং তারই পরিপ্রেক্ষিতে অবতীর্ণ হল, (إِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيمٌ) (বুখারী ৪৭৭৬নং) কিন্তু আসলে এতে ঐ কথা আল্লাহর উক্তি হওয়ার বা না হওয়ার কোন প্রমাণ হয় না। পক্ষান্তরে অন্য এক বর্ণনায় আছে যে, উক্ত আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর সাহাবাগণ তা বড় কঠিন মনে করে নবী (সাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলেন এবং তিনি তার উত্তরে বললেন, "তোমরা যা ধারণা করছ, তা নয়। এখানে যুলম বলতে সেই যুলমকে বুঝানো হয়েছে, যার কথা লুকমান তাঁর ছেলেকে বলেছিলেন, (يَا بُنَيَّ لَا تُشْرِكْ بِاللَّهِ إِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيمٌ) (বুখারী) এ বর্ণনা দ্বারা বুঝা যায় যে, ঐ উক্তি লুকমান হাকীমেরই ছিল।