افنضرب عنكم الذكر صفحا ان كنتم قوما مسرفين ٥
أَفَنَضْرِبُ عَنكُمُ ٱلذِّكْرَ صَفْحًا أَن كُنتُمْ قَوْمًۭا مُّسْرِفِينَ ٥
اَفَنَضْرِبُ
عَنْكُمُ
الذِّكْرَ
صَفْحًا
اَنْ
كُنْتُمْ
قَوْمًا
مُّسْرِفِیْنَ
۟

তোমরা সীমালংঘনকারী সম্প্রদায় বলে কি আমি তোমাদের নিকট হতে উপদেশ-বাণী (কুরআন) প্রত্যাহার করে নেব? [১]

[১] এর বিভিন্ন অর্থ করা হয়েছে। যেমন, (ক) তোমরা যেহেতু পাপসমূহে একেবারে মেতে আছ এবং অব্যাহতভাবে তা করেই যাচ্ছ বলে কি তোমরা ভেবে নিয়েছ যে, আমি তোমাদেরকে ওয়ায-নসীহত করা ছেড়ে দেব? (খ) অথবা তোমাদের কুফরী ও সীমাতিক্রম করার জন্য আমি তোমাদেরকে কিছুই বলব না এবং আমি তোমাদেরকে এমনিই ছেড়ে দেব। (গ) আমি তোমাদেরকে ধ্বংস করে দেব এবং তোমাদেরকে না কোন জিনিসের নির্দেশ দেব, আর না কোন জিনিস থেকে নিষেধ করব। (ঘ) তোমরা যেহেতু কুরআনের উপর ঈমান আনছ না, তাই আমি কুরআন অবতীর্ণ করার ধারাই বন্ধ করে দেব। প্রথম অর্থকে ইমাম ত্বাবারী এবং শেষোক্ত অর্থকে ইমাম ইবনে কাসীর পছন্দ করে বলেন যে, এটা আল্লাহর অপার অনুগ্রহ যে, তিনি কল্যাণ ও 'যিকর হাকীম' (কুরআন) এর প্রতি দাওয়াত দেওয়ার ধারাবাহিকতা বন্ধ করে দেননি, যদিও তারা বিমুখ হওয়া এবং অস্বীকার করার ব্যাপারে সীমাতিক্রম করছিল। যাতে যার ভাগ্যে হিদায়াত নির্ধারিত আছে, সে যেন তার মাধ্যমে হিদায়াত গ্রহণ করে নেয় এবং যাদের ভাগ্যে দুর্দশা লিপিবদ্ধ হয়ে গেছে, তাদের উপর হুজ্জত কায়েম হয়ে যায়।