یٰبُنَیَّ
اَقِمِ
الصَّلٰوةَ
وَاْمُرْ
بِالْمَعْرُوْفِ
وَانْهَ
عَنِ
الْمُنْكَرِ
وَاصْبِرْ
عَلٰی
مَاۤ
اَصَابَكَ ؕ
اِنَّ
ذٰلِكَ
مِنْ
عَزْمِ
الْاُمُوْرِ
۟ۚ

হে বৎস ! যথারীতি নামায পড়, সৎকাজের নির্দেশ দাও, অসৎকাজে বাধা দান কর এবং আপদে-বিপদে ধৈর্য ধারণ কর। [১] নিশ্চয়ই এটিই দৃঢ় সংকল্পের কাজ। [২]

[১] নামায প্রতিষ্ঠা, ভাল কাজের আদেশ ও মন্দ কাজে বাধা দান এবং মুসীবতে ধৈর্যধারণ করার কথা উল্লেখ এই জন্য করা হয়েছে যে, উক্ত তিনটিই গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত ও ভাল কাজের মূল বা ভিত্তি।

[২] অর্থাৎ, পূর্বে আলোচিত কথাগুলি ঐ সকল কর্মের অন্তর্ভুক্ত, যে বিষয়ে আল্লাহ্ তাআলা তাকীদ করেছেন এবং বান্দার উপর তা ফরয করেছেন। অথবা এ হল শক্ত মনোবল ও সুদৃঢ় হিম্মত সৃষ্টি করার জন্য উদ্বুদ্ধকারী। কারণ শক্ত মনোবল ও সুদৃঢ় হিম্মত ছাড়া উল্লিখিত নির্দেশাবলীর উপর আমল অসম্ভব। কোন কোন মুফাসসিরের মতে ذلك (এটি) বলে ধৈর্যের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। ইতিপূর্বে ভাল কাজের আদেশ ও মন্দ কাজের নিষেধের অসিয়ত করা হয়েছে। যেহেতু সে পথে বিভিন্ন কষ্ট ও মানুষের কথার খোঁচা ইত্যাদি হওয়াটা স্বাভাবিক সেহেতু তার পরেই ধৈর্যধারণের কথা বলে পরিষ্কার বুঝানো হয়েছে যে, ধৈর্যধারণ করবে। কেননা, তা শক্ত মনোবল ও সুদৃঢ় হিম্মতের কাজ। আর তা শক্ত মনোবল ও সুদৃঢ় হিম্মত পোষণকারী সংকল্পবদ্ধ মানুষদের জন্য একটা বড় হাতিয়ার; যে হাতিয়ার ছাড়া তবলীগের কাজ করা সম্ভব নয়।