ثُمَّ
لَقَطَعْنَا
مِنْهُ
الْوَتِیْنَ
۟ؗۖ

এবং কেটে দিতাম তার জীবন-ধমনী। [১]

[১] জ্ঞাতব্য যে, এই শাস্তি কেবলমাত্র নবী (সাঃ)-এর ব্যাপারে বর্ণিত হয়েছে। এ থেকে উদ্দেশ্য তাঁর সত্যতার বিকাশ। এতে কোন মূল নীতির কথা বর্ণনা করা হয়নি যে, যে ব্যক্তিই নবী হওয়ার মিথ্যা দাবী করবে, তাকেই সত্বর শাস্তি প্রদান করব। কাজেই নবুঅতের কোন মিথ্যা দাবীদারকে এই ভিত্তিতে সত্য সাব্যস্ত করা যাবে না যে, দুনিয়াতে সে আল্লাহর পাকড়াও থেকে রেহাই পেয়েছে। বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনাবলী থেকেও প্রমাণিত যে, নবুঅতের অনেক মিথ্যা দাবীদারকে আল্লাহ ঢিল দিয়েছেন এবং তারা দুনিয়াতে তাঁর পাকড়াও থেকে নিরাপত্তা লাভ করেছে। কাজেই আল্লাহর ঐ শাস্তির ধমককে মূলনীতি মনে করে নিলে, নবুঅতের বহু মিথ্যা দাবীদারদেরকে সত্য নবী বলে মেনে নিতে হবে।