افمن حق عليه كلمة العذاب افانت تنقذ من في النار ١٩
أَفَمَنْ حَقَّ عَلَيْهِ كَلِمَةُ ٱلْعَذَابِ أَفَأَنتَ تُنقِذُ مَن فِى ٱلنَّارِ ١٩
اَفَمَنْ
حَقَّ
عَلَیْهِ
كَلِمَةُ
الْعَذَابِ ؕ
اَفَاَنْتَ
تُنْقِذُ
مَنْ
فِی
النَّارِ
۟ۚ

যার ওপর দন্ডাদেশ অবধারিত হয়েছে;[১] তুমি কি তাকে রক্ষা করতে পারবে, যে জাহান্নামে আছে? [২]

[১] অর্থাৎ, আল্লাহর ফায়সালা ও ভাগ্য অনুযায়ী সে শাস্তির উপযুক্ত হয়ে গেছে। এমনভাবে সে কুফর ও যুলম এবং অন্যায় ও সীমালংঘনের শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে, সেখান থেকে ফিরে আসা তার পক্ষে আর সম্ভব নয় এবং তাকে গুনাহতে পূর্ণরূপে এমনভাবে গ্রাস করে নিয়েছে যে, পরিশেষে সে জাহান্নামী হয়ে গেছে। যেমন আবু জাহল ও আস বিন ওয়ায়েল প্রভৃতিরা।

[২] যেহেতু নবী (সাঃ) নিজ জাতির সকল মানুষের ঈমানদার হওয়ার বড় আশা রাখতেন, সেহেতু আল্লাহ তাআলা নবী (সাঃ)-কে সান্ত্বনা দিয়েছেন এবং বলেছেন যে, তোমার এ আশা নিজ জায়গায় বিলকুল ঠিক, কিন্তু যার ভাগ্যে লেখা হয়ে গেছে এবং আল্লাহর দন্ডাদেশ যার জন্য অবধারিত হয়ে গেছে, তাকে তুমি জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করতে পারবে না।