যা দিয়ে আল্লাহ তোমাদের কাউকেও কারোর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন, তোমরা তার লালসা করো না। পুরুষগণ যা অর্জন করে, তা তাদের প্রাপ্য অংশ এবং নারীগণ যা অর্জন করে, তা তাদের প্রাপ্য অংশ। তোমরা আল্লাহর কাছে তাঁর অনুগ্রহ প্রার্থনা কর। [১] নিশ্চয় আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞ।
[১] এই আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, উম্মে সালামা (রাঃ) আরজি পেশ করলেন যে, পুরুষরা জিহাদে অংশ গ্রহণ করে শাহাদাত লাভে ধন্য হন, কিন্তু আমরা মহিলারা এই ফযীলতপূর্ণ কাজ থেকে বঞ্চিতা। আমাদের মীরাসও পুরুষদের অর্ধেক। এই কথার ভিত্তিতে এই আয়াত নাযিল হয়। (মুসনাদ আহমাদ ৬/৩২২) মহান আল্লাহর এই উক্তির অর্থ হল, তিনি তাঁর কৌশল অনুযায়ী পুরুষদেরকে শারীরিক যে শক্তি দান করেছেন এবং যে শক্তির ভিত্তিতে তারা জিহাদে অংশ গ্রহণ করে, এটা তাদের জন্য আল্লাহর বিশেষ দান। এগুলো দেখে নারীদেরকে পুরুষদের যোগ্যতাধীনের কাজ করার আশা করা উচিত নয়। অবশ্যই তাদের আল্লাহর আনুগত্য ও নেকীর কাজে বড়ই আগ্রহের সাথে অংশ গ্রহণ করা উচিত। তারা ভাল কাজ যা কিছু করবে পুরুষের ন্যায় তার পুরো পুরো প্রতিদান তারাও পাবে। এ ছাড়া তাদের উচিত, আল্লাহ নিকট তাঁর অনুগ্রহ কামনা করা। কারণ, নারী-পুরুষের মধ্যে কর্মদক্ষতা, যোগ্যতা এবং শক্তিমত্তার যে ব্যবধান, তা হল মহাশক্তিমান আল্লাহর এমন অটল ফায়সালা, যা কেবল কামনা করলেই পরিবর্তন হয়ে যায় না। তবে তাঁর অনুগ্রহে শ্রম ও উপার্জনের যে ঘাটতি, তা দূর হয়ে যেতে পারে।