যার যবেহকালে আল্লাহর নাম নেওয়া হয়নি, তা তোমরা ভক্ষণ করো না। কেননা, তা পাপ।[১] আর নিশ্চয় শয়তান তার বন্ধুদেরকে তোমাদের সাথে বিবাদ করতে প্ররোচনা দেয়।[২] যদি তোমরা তাদের কথামত চল, তাহলে অবশ্যই তোমরা অংশীবাদী হয়ে যাবে।
[১] অর্থাৎ, ইচ্ছাকৃতভাবে যে পশুকে আল্লাহর নাম না নিয়েই যবেহ করা হয়েছে, তা খাওয়া ফাসেক্বী (পাপ) ও অবৈধ। ইবনে আব্বাস (রাঃ) এর অর্থ এটাই করেছেন। তিনি বলেন, 'যে ভুলে যায়, তাকে ফাসেক বলা হয় না।' ইমাম বুখারীর সমর্থনও রয়েছে এরই প্রতি এবং হানাফীদেরও মত এটাই। তবে ইমাম শাফেয়ীর মত হল, মুসলিমের যবেহ করা পশু উভয় অবস্থাতেই হালাল, চাহে সে আল্লাহর নাম নিক অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে ছেড়ে দিক। আর তিনি وَإِنَّهُ لَفِسْقٌ (কেননা, তা পাপ) কথাটিকে গায়রুল্লাহর নামে যবেহ করা পশুর বিষয়ীভূত মনে করেছেন।
[২] শয়তান স্বীয় সহচরদের মাধ্যমে এ কথা রটায় যে, মুসলিমরা আল্লাহর যবেহকৃত (অর্থাৎ, মৃত) পশুকে তো হারাম মনে করে, আর তাদের নিজ হাতে যবেহকৃত পশুকে হালাল মনে করে, অথচ তারা দাবী করে যে, আমরা আল্লাহকে মান্য করে চলি। মহান আল্লাহ বলেন, শয়তান এবং তার সহচরদের কুমন্ত্রণার পিছনে পড়ো না। যে পশু মৃত, অর্থাৎ, যবেহ ছাড়াই মারা গেছে, তাতে যেহেতু আল্লাহর নাম নেওয়া হয়নি, সেহেতু তা খাওয়া হালাল নয়। (অবশ্য পঙ্গপাল ও সামুদ্রিক প্রাণী ব্যতিক্রম। কারণ, হাদীসানুযায়ী তা মৃতও হালাল।)