امن يجيب المضطر اذا دعاه ويكشف السوء ويجعلكم خلفاء الارض االاه مع الله قليلا ما تذكرون ٦٢
أَمَّن يُجِيبُ ٱلْمُضْطَرَّ إِذَا دَعَاهُ وَيَكْشِفُ ٱلسُّوٓءَ وَيَجْعَلُكُمْ خُلَفَآءَ ٱلْأَرْضِ ۗ أَءِلَـٰهٌۭ مَّعَ ٱللَّهِ ۚ قَلِيلًۭا مَّا تَذَكَّرُونَ ٦٢
اَمَّنْ
یُّجِیْبُ
الْمُضْطَرَّ
اِذَا
دَعَاهُ
وَیَكْشِفُ
السُّوْٓءَ
وَیَجْعَلُكُمْ
خُلَفَآءَ
الْاَرْضِ ؕ
ءَاِلٰهٌ
مَّعَ
اللّٰهِ ؕ
قَلِیْلًا
مَّا
تَذَكَّرُوْنَ
۟ؕ

অথবা তিনি, যিনি আর্তের আহবানে সাড়া দেন, যখন সে তাঁকে ডাকে এবং বিপদ-আপদ দূরীভূত করেন[১] এবং তোমাদেরকে পৃথিবীর প্রতিনিধি করেন।[২] আল্লাহর সঙ্গে অন্য কোন উপাস্য আছে কি? তোমরা অতি সামান্যই উপদেশ গ্রহণ করে থাক।

[১] আল্লাহ তাআলা তো তিনিই যাঁকে সংকট মুহূর্তে ডাকা হয়। বিপদাপদে যাঁর প্রতি মন আশান্বিত থাকে। বিপদগ্রস্ত অসহায় যাঁর দিকে রুজু করে এবং বালা-বিপদ তিনিই দূর করেন। অধিক জানার জন্য সূরা ইসরা ১৭:৬৭ নং ও সূরা নামলের ২৭:৫৩ নং আয়াত দ্রষ্টব্য।[২] অর্থাৎ, এক উম্মতের পর আর এক উম্মত, এক জাতির পর আর এক জাতি, এক প্রজন্মের পর আর এক প্রজন্ম সৃষ্টি করেন। নচেৎ একই সময়ে সকলকে সৃষ্টি করলে পৃথিবী সংকীর্ণ হওয়ার আশঙ্কা ছিল। উপার্জনের ক্ষেত্রেও নানান সমস্যা দেখা দিত এবং সকলেই পরস্পর ক্ষতিগ্রস্ত হত। মোটকথা, একের পর অন্যকে সৃষ্টি করা এবং একের স্থলে অন্যকে স্থলাভিষিক্ত ও প্রতিনিধি করার মধ্যে মহান আল্লাহর পূর্ণ কৃপারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।