فما كان جواب قومه الا ان قالوا اقتلوه او حرقوه فانجاه الله من النار ان في ذالك لايات لقوم يومنون ٢٤
فَمَا كَانَ جَوَابَ قَوْمِهِۦٓ إِلَّآ أَن قَالُوا۟ ٱقْتُلُوهُ أَوْ حَرِّقُوهُ فَأَنجَىٰهُ ٱللَّهُ مِنَ ٱلنَّارِ ۚ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَـَٔايَـٰتٍۢ لِّقَوْمٍۢ يُؤْمِنُونَ ٢٤
فَمَا
كَانَ
جَوَابَ
قَوْمِهٖۤ
اِلَّاۤ
اَنْ
قَالُوا
اقْتُلُوْهُ
اَوْ
حَرِّقُوْهُ
فَاَنْجٰىهُ
اللّٰهُ
مِنَ
النَّارِ ؕ
اِنَّ
فِیْ
ذٰلِكَ
لَاٰیٰتٍ
لِّقَوْمٍ
یُّؤْمِنُوْنَ
۟

উত্তরে ইব্রাহীমের সম্প্রদায় শুধু এই বলল যে, ‘একে হত্যা কর অথবা পুড়িয়ে মার।’[১] কিন্তু আল্লাহ তাকে আগুন হতে রক্ষা করলেন।[২] এতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য।

[১] এই আয়াতগুলোর পূর্বে ইবরাহীম (আঃ)-এর কথা আলোচনা হচ্ছিল। এখন আবার তার শেষাংশ আলোচনা করা হচ্ছে। মাঝে আনুষঙ্গিকভাবে আল্লাহর একত্ববাদ ও তাঁর শক্তি-ক্ষমতা সম্পর্কে কিছু আলোচনা হয়েছে। কেউ কেউ বলেন, এ সমস্তই ইবরাহীম (আঃ)-এর উপদেশের অংশবিশেষ, এতে তিনি একত্ববাদ ও পরকাল প্রমাণে কিছু দলীল পেশ করেছেন। যখন তাঁর জাতি এ সবের কোন উত্তর দিতে সক্ষম হল না, তখন তারা অত্যাচার ও কঠোরতার পথ অবলম্বন করল; যার বর্ণনা এই আয়াতে দেওয়া হয়েছে। আর তা হল, তাঁকে হত্যা কর অথবা পুড়িয়ে মার। অতএব তারা এক বিশাল অগ্নিকুন্ড প্রস্তুত করে 'মিনজানীক' (উৎক্ষেপক) যন্ত্রের সাহায্যে তাতে তাঁকে নিক্ষেপ করল।

[২] অর্থাৎ, আল্লাহ তাআলা আগুনকে শান্তিময় শীতল করে নিজ বান্দাকে রক্ষা করলেন; যেমন সূরা আম্বিয়ায় বর্ণিত হয়েছে।