ما المسيح ابن مريم الا رسول قد خلت من قبله الرسل وامه صديقة كانا ياكلان الطعام انظر كيف نبين لهم الايات ثم انظر انى يوفكون ٧٥
مَّا ٱلْمَسِيحُ ٱبْنُ مَرْيَمَ إِلَّا رَسُولٌۭ قَدْ خَلَتْ مِن قَبْلِهِ ٱلرُّسُلُ وَأُمُّهُۥ صِدِّيقَةٌۭ ۖ كَانَا يَأْكُلَانِ ٱلطَّعَامَ ۗ ٱنظُرْ كَيْفَ نُبَيِّنُ لَهُمُ ٱلْـَٔايَـٰتِ ثُمَّ ٱنظُرْ أَنَّىٰ يُؤْفَكُونَ ٧٥
مَا
الْمَسِیْحُ
ابْنُ
مَرْیَمَ
اِلَّا
رَسُوْلٌ ۚ
قَدْ
خَلَتْ
مِنْ
قَبْلِهِ
الرُّسُلُ ؕ
وَاُمُّهٗ
صِدِّیْقَةٌ ؕ
كَانَا
یَاْكُلٰنِ
الطَّعَامَ ؕ
اُنْظُرْ
كَیْفَ
نُبَیِّنُ
لَهُمُ
الْاٰیٰتِ
ثُمَّ
انْظُرْ
اَنّٰی
یُؤْفَكُوْنَ
۟

মারয়্যাম-তনয় মসীহ তো একজন রসূল মাত্র। তার পূর্বে বহু রসূল গত হয়েছে এবং তার মাতা সত্যনিষ্ঠ ছিল।[১] তারা উভয়ে খাদ্যাহার করত।[২] দেখ, ওদের জন্য আয়াত (বাক্য) কিরূপ বিশদভাবে বর্ণনা করি। আরও দেখ, ওরা কিভাবে সত্য-বিমুখ হয়।

[১] صديقة শব্দের অর্থ; মু'মিন ও অলী। অর্থাৎ, তিনিও ঈসা (আঃ)-এর উপর ঈমান আনয়নকারী এবং তাঁকে সত্যজ্ঞানকারীদের একজন ছিলেন। আর তার অর্থ এই যে, তিনি নবী ছিলেন না। যেমনটি কিছু লোকের ধারণা, যাঁরা মারয়্যাম ('আলাইহাস্ সালাম) সহ (ইসহাক (আঃ)-এর জননী) সারাহ এবং মূসা (আঃ)-এর জননীকে নবী ছিলেন বলে মনে করেন। আর এর প্রমাণে তাঁরা বলেন যে, প্রথমোক্ত দুই জনের সাথে ফিরিশতাগণের কথোপকথন হয়। আর মূসা (আঃ)-এর জননীর সাথে স্বয়ং আল্লাহ অহী করেন। আর এই কথোপকথন ও অহী উভয়ই নবী হওয়ারই প্রমাণ। কিন্তু অধিকাংশ উলামাগণের নিকট এ প্রমাণ বা দলীল এমন নয়, যা কুরআনের স্পষ্ট উক্তির মোকাবেলা করতে পারে। মহান আল্লাহ স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন যে, "আমি যত রসূল পাঠিয়েছি সকলেই পুরুষ ছিল। (সূরা ইউসুফ ১২:১০৯)[২] ঈসা (আঃ) এবং মারয়্যাম ('আলাইহাস্ সালাম) আল্লাহ বা উপাস্য ছিলেন না; বরং তাঁরা উভয়ে মানুষ ছিলেন তার প্রমাণ পেশ করা হচ্ছে। যেহেতু পানাহার করা মানুষের দৈহিক চাহিদা ও প্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্যে গণ্য। যিনি মা'বুদ বা উপাস্য তিনি এ সবের ঊর্ধ্বে; বরং ঊর্ধ্ব থেকেও ঊর্ধ্বে।