جزاوهم عند ربهم جنات عدن تجري من تحتها الانهار خالدين فيها ابدا رضي الله عنهم ورضوا عنه ذالك لمن خشي ربه ٨
جَزَآؤُهُمْ عِندَ رَبِّهِمْ جَنَّـٰتُ عَدْنٍۢ تَجْرِى مِن تَحْتِهَا ٱلْأَنْهَـٰرُ خَـٰلِدِينَ فِيهَآ أَبَدًۭا ۖ رَّضِىَ ٱللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا۟ عَنْهُ ۚ ذَٰلِكَ لِمَنْ خَشِىَ رَبَّهُۥ ٨
جَزَآؤُهُمْ
عِنْدَ
رَبِّهِمْ
جَنّٰتُ
عَدْنٍ
تَجْرِیْ
مِنْ
تَحْتِهَا
الْاَنْهٰرُ
خٰلِدِیْنَ
فِیْهَاۤ
اَبَدًا ؕ
رَضِیَ
اللّٰهُ
عَنْهُمْ
وَرَضُوْا
عَنْهُ ؕ
ذٰلِكَ
لِمَنْ
خَشِیَ
رَبَّهٗ
۟۠

তাদের প্রতিপালকের নিকট আছে তাদের পুরস্কার স্থায়ী জান্নাত; যার নিম্নদেশে নদীমালা প্রবাহিত। সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে; আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট[১] এবং তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট; [২] এ (প্রতিদান) তার জন্য, যে তার প্রতিপালককে ভয় করে। [৩]

[১] অর্থাৎ, তাদের ঈমান, আনুগত্য এবং সৎকর্মের কারণে আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট। আর আল্লাহর সন্তুষ্টি হল সব থেকে বড় জিনিস। মহান আল্লাহ বলেন, (وَرِضْوَانٌ مِنَ اللهِ أَكبَر) (সূরা তাওবাহ ৯:৭২ আয়াত)[২] এ জন্য যে, আল্লাহ তাদেরকে এমন সব নিয়ামতের অধিকারী বানিয়েছেন; যার মধ্যে তাদের আত্মা ও দেহ উভয়ের সুখ বিদ্যমান।[৩] অর্থাৎ, উত্তম প্রতিদান ও সন্তুষ্টি ঐ সকল লোকদের জন্য, যারা পৃথিবীতে আল্লাহকে ভয় করে চলে। আর সেই ভয়ের কারণে আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণ করা হতে দূরে থাকে। যদি কোন সময় মানব মনের প্রবণতায় পাপ হয়েই যায়, তাহলে তারা সঙ্গে সঙ্গে তওবা করে নিজেদেরকে সংশোধন করে নেয়। পরিশেষে তাদের মৃত্যু এই অনুগত থাকা অবস্থাতেই হয়; অবাধ্য থাকা অবস্থায় নয়। এর ফলকথা এই যে, আল্লাহর ভয়ে ভীত মানুষ তাঁর অবাধ্যাচরণে অবিচল থাকতে পারে না। পক্ষান্তরে যে এরূপ করে, আসলে তার হৃদয় আল্লাহর ভয় থেকে শূন্য।