এবং চালিত করা হবে পর্বতসমূহকে, ফলে তা মরীচিকায় পরিণত হবে। [১]
[১] سراب (মরীচিকা) সেই বালিরাশিকে বলা হয়, যা (রোদের তাপে) দূর হতে পানি মনে হয়। পাহাড়ও মরীচিকার মত কেবল দূর হতে দৃশ্যমান বস্তুতে পরিণত হয়ে যাবে। আর তারপরই তা একেবারেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। তার কোন চিহ্ন পর্যন্ত বাকী থাকবে না। কেউ কেউ বলেছেন যে, কুরআনে (কিয়ামতের দিন) পাহাড়ের নানান ধরণের অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে, যাদের মাঝে সমন্বয়ের পথ হল এই যে, (১) প্রথমে তা চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেওয়া হবে। فدكتا دكة واحدة (সূরা হাক্ক্বাহ ৬৯:১৪ আয়াত) (২) তারপর তা ধূনিত রঙ্গীন পশমের মত হয়ে যাবে। كالعهن المنفوش (সূরা ক্বারিআহ ১০১:৫ আয়াত) (৩) তারপর তা হবে উৎক্ষিপ্ত ধূলিকণার মত। فكانت هباء منبثا (ওয়াক্বিআহ ৫৬:৬ আয়াত) (৪) তারপর তা উড়িয়ে দেওয়া হবে। ينسفها ربي نسفًا (সূরা ত্বাহা ২০:১০৫ আয়াত) আর পঞ্চম অবস্থায় তা سراب মরীচিকার মত অস্তিত্বহীন হয়ে যাবে; যেমন এখানে বলা হয়েছে। (ফাতহুল ক্বাদীর)