বৃদ্ধ নারী; যারা বিবাহের আশা রাখে না, তাদের জন্য অপরাধ নেই; যদি তারা তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে তাদের বহির্বাস খুলে রাখে।[১] তবে এ থেকে তাদের বিরত থাকাই তাদের জন্য উত্তম।[২] আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
[১] এ থেকে এমন বৃদ্ধা নারী বা এমন বিগত-যৌবনা মহিলা উদ্দেশ্য, যাদের মাসিক বন্ধ হয়ে গেছে এবং সন্তান দেওয়ার যোগ্যতাও শেষ হয়ে গেছে। এই বয়সে সাধারণতঃ মহিলাদের মধ্যে পুরুষদের প্রতি যৌনকামনার যে প্রাকৃতিক আকর্ষণ থাকার কথা তা শেষ হয়ে যায়। আর তখন না তারা বিবাহের ইচ্ছা পোষণ করে, আর না-ই কোন পুরুষ তাদের প্রতি বিবাহের জন্য আকৃষ্ট হয়। এই সমস্ত নারীদের ক্ষেত্রে পর্দার নির্দেশকে কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। 'বহির্বাস' বলতে দেহের বাইরে বা উপরের লেবাস যা শালওয়ার-কামিজের উপর বড় চাদর বা বোরকারূপে ব্যবহার করা হয়, তা বুঝানো হয়েছে। সুতরাং এই বয়সে তারা চাদর বা বোরকা খুলে রাখতে পারে। তবে শর্ত হল, যেন সৌন্দর্য, সাজসজ্জা ও প্রসাধন ইত্যাদির প্রকাশ উদ্দেশ্য না হয়। যার অর্থ হল, কোন নারী নিজের যৌন অনুভূতি শেষ হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও যদি সাজগোজ (ও ঠসক) দ্বারা যৌনকামভাব প্রকাশ করার রোগে আক্রান্ত থাকে, তাহলে তার জন্য পর্দার ব্যাপারে কোন প্রকার শিথিলতা নেই; বরং তাকে পূর্ণরূপ পর্দা করতে হবে।
[২] অর্থাৎ, যদি উক্ত বৃদ্ধা নারীগণ পর্দার ব্যাপারে শৈথিল্য না করে পূর্বের ন্যায় রীতিমত বড় চাদর বা বোরকা ব্যবহার করতে থাকে, তাহলে তাদের জন্য সেটাই উত্তম।