وليستعفف الذين لا يجدون نكاحا حتى يغنيهم الله من فضله والذين يبتغون الكتاب مما ملكت ايمانكم فكاتبوهم ان علمتم فيهم خيرا واتوهم من مال الله الذي اتاكم ولا تكرهوا فتياتكم على البغاء ان اردن تحصنا لتبتغوا عرض الحياة الدنيا ومن يكرههن فان الله من بعد اكراههن غفور رحيم ٣٣
وَلْيَسْتَعْفِفِ ٱلَّذِينَ لَا يَجِدُونَ نِكَاحًا حَتَّىٰ يُغْنِيَهُمُ ٱللَّهُ مِن فَضْلِهِۦ ۗ وَٱلَّذِينَ يَبْتَغُونَ ٱلْكِتَـٰبَ مِمَّا مَلَكَتْ أَيْمَـٰنُكُمْ فَكَاتِبُوهُمْ إِنْ عَلِمْتُمْ فِيهِمْ خَيْرًۭا ۖ وَءَاتُوهُم مِّن مَّالِ ٱللَّهِ ٱلَّذِىٓ ءَاتَىٰكُمْ ۚ وَلَا تُكْرِهُوا۟ فَتَيَـٰتِكُمْ عَلَى ٱلْبِغَآءِ إِنْ أَرَدْنَ تَحَصُّنًۭا لِّتَبْتَغُوا۟ عَرَضَ ٱلْحَيَوٰةِ ٱلدُّنْيَا ۚ وَمَن يُكْرِههُّنَّ فَإِنَّ ٱللَّهَ مِنۢ بَعْدِ إِكْرَٰهِهِنَّ غَفُورٌۭ رَّحِيمٌۭ ٣٣
وَلْیَسْتَعْفِفِ
الَّذِیْنَ
لَا
یَجِدُوْنَ
نِكَاحًا
حَتّٰی
یُغْنِیَهُمُ
اللّٰهُ
مِنْ
فَضْلِهٖ ؕ
وَالَّذِیْنَ
یَبْتَغُوْنَ
الْكِتٰبَ
مِمَّا
مَلَكَتْ
اَیْمَانُكُمْ
فَكَاتِبُوْهُمْ
اِنْ
عَلِمْتُمْ
فِیْهِمْ
خَیْرًا ۖۗ
وَّاٰتُوْهُمْ
مِّنْ
مَّالِ
اللّٰهِ
الَّذِیْۤ
اٰتٰىكُمْ ؕ
وَلَا
تُكْرِهُوْا
فَتَیٰتِكُمْ
عَلَی
الْبِغَآءِ
اِنْ
اَرَدْنَ
تَحَصُّنًا
لِّتَبْتَغُوْا
عَرَضَ
الْحَیٰوةِ
الدُّنْیَا ؕ
وَمَنْ
یُّكْرِهْهُّنَّ
فَاِنَّ
اللّٰهَ
مِنْ
بَعْدِ
اِكْرَاهِهِنَّ
غَفُوْرٌ
رَّحِیْمٌ
۟

যাদের বিবাহের সামর্থ্য নেই, আল্লাহ তাদেরকে নিজ অনুগ্রহে অভাবমুক্ত না করা পর্যন্ত তারা যেন সংযম অবলম্বন করে[১] এবং তোমাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসীর মধ্যে কেউ তার মুক্তির জন্য লিখিত চুক্তি করতে চাইলে, তাদের সাথে চুক্তিতে আবদ্ধ হও; যদি তোমরা জানো যে, ওদের মাঝে কোন কল্যাণ আছে।[১] আল্লাহ তোমাদেরকে যে সম্পদ দিয়েছেন, তা হতে তোমরা ওদেরকে দান কর।[২] আর তোমাদের দাসিগণ সতীত্ব রক্ষা করতে চাইলে পার্থিব জীবনের ধন-লালসায় তাদেরকে ব্যভিচারিণী হতে বাধ্য করো না।[৩] পক্ষান্তরে কেউ যদি তাদেরকে বাধ্য করে, তাহলে সে ক্ষেত্রে তাদের উপর জবরদস্তির পর নিশ্চয় আল্লাহ তাদের প্রতি চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। [৪]

[১] (আর্থিক অসঙ্গতি থাকলেও বিবাহ করা বৈধ; তবে অভাব দূর না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ না করে যৌন-পীড়নে ধৈর্য ধরাই উত্তম।) যতদিন বিবাহের সামর্থ্য না থাকবে, ততদিন পবিত্র থাকার জন্য নফল রোযা রাখার উপর হাদীসে তাকীদ করা হয়েছে। নবী (সাঃ) বলেছেন, "হে যুবকের দল! তোমাদের মধ্যে যাদের বিবাহের সামর্থ্য আছে, (যথাসময়ে) তাদের বিবাহ করা উচিত। কারণ, তাতে চোখ ও লজ্জাস্থানের হিফাযত হয়। আর যাদের বিবাহের সামর্থ্য নেই তাদের উচিত, (বেশি বেশি নফল) রোযা রাখা। কারণ, রোযা যৌন-কামনাকে নিয়ন্ত্রণ করে।" (বুখারীঃ রোযা অধ্যায়, মুসলিমঃ নিকাহ অধ্যায়)

[২] 'মুকাতাব' এমন দাসকে বলা হয়, যে কিছু টাকার বিনিময়ে নিজেকে মুক্ত করার ব্যাপারে মালিকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়। 'কল্যাণ আছে' এর অর্থঃ তাদের সততা ও আমানতদারীর উপর তোমাদের বিশ্বাস থাকে অথবা তারা কোন শিল্প বা কাজের ব্যাপারে অভিজ্ঞতা রাখে। যাতে সে উপার্জন করে চুক্তির টাকা আদায় করতে পারে। ইসলাম যেহেতু দাস প্রথা উচ্ছেদের স্বপক্ষে সুকৌশল অবলম্বন করেছিল, সেহেতু এখানেও মালিকদেরকেও তাকীদ করা হয়েছে যে, অর্থচুক্তি করতে ইচ্ছুক দাসদের সাথে চুক্তি করতে দ্বিধা করবে না; যদি তোমরা তাদের মধ্যে অর্থ পরিশোধের সামর্থ্য আছে বলে বুঝতে পারো। কিছু উলামাদের নিকট এই আদেশ পালন ওয়াজেব এবং কিছুর নিকট মুস্তাহাব।

[৩] অর্থাৎ দাসত্ব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য যে চুক্তি তারা করেছে; যেহেতু এখন তাদের অর্থের প্রয়োজন, সেহেতু তাদেরকে তোমরা আর্থিক সাহায্য কর; যদি আল্লাহ্ তোমাদের অর্থশালী করে থাকেন। যাতে তারা চুক্তিকৃত অর্থ মালিককে আদায় দিতে পারে। এই কারণে দয়াময় আল্লাহ্ যাকাতের অর্থ বণ্টনের আট প্রকার যে খাতের কথা বলেছেন, তাদের মধ্যে দাসমুক্তি একটি। অর্থাৎ যাকাতের পয়সা দাস মুক্তির জন্য খরচ করা যাবে।

[৪] ইসলামের পূর্বে জাহেলী যুগের লোকেরা শুধু কিছু টাকার লোভে নিজেদের দাসীদেরকে ব্যভিচারের মত জঘন্য কাজে লিপ্ত হতে বাধ্য করত। সুতরাং ইচ্ছা-অনিচ্ছায় তাদেরকে কলংকের ছাপ গায়ে এঁকে নিতে হত। মহান আল্লাহ মুসলিমদেরকে এ রকম করতে নিষেধ করলেন। 'সতীত্ব রক্ষা করতে চাইলে'-- এ কথা স্বাভাবিক পরিস্থিতির দিকে খেয়াল করে বলা হয়েছে। নচেৎ এর অর্থ এই নয় যে, 'তারা সতীত্ব রক্ষা করতে না চাইলে' বা 'তারা ব্যভিচার পছন্দ করলে' তাদের দ্বারা উক্ত কাজ করিয়ে নাও। বরং এই নির্দেশের উদ্দেশ্য এই যে, সামান্য পার্থিব ধন-লালসায় দাসীদের দ্বারা এ কাজ করায়ো না। কারণ, এ রকম উপার্জন হারাম। যেমন হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।

[৫] অর্থাৎ, যে সব দাসী দ্বারা বাধ্যতামূলকভাবে এ রকম অশ্লীল কাজ করানো হয়, সে সব দাসীর পাপ হবে না। কারণ তারা অসহায়। বরং পাপী হবে তাদেরকে বাধ্যকারী মালিকরা। হাদীসে এসেছে 'আমার উম্মতের ভুল-ত্রুটি আর এমন কাজ যা করতে বাধ্য করা হয়, তা ক্ষমার যোগ্য।' (ইবনে মাজাহঃ তালাক অধ্যায়)