خلق السماوات والارض بالحق وصوركم فاحسن صوركم واليه المصير ٣
خَلَقَ ٱلسَّمَـٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضَ بِٱلْحَقِّ وَصَوَّرَكُمْ فَأَحْسَنَ صُوَرَكُمْ ۖ وَإِلَيْهِ ٱلْمَصِيرُ ٣
خَلَقَ
السَّمٰوٰتِ
وَالْاَرْضَ
بِالْحَقِّ
وَصَوَّرَكُمْ
فَاَحْسَنَ
صُوَرَكُمْ ۚ
وَاِلَیْهِ
الْمَصِیْرُ
۟

তিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী যথাযথভাবে সৃষ্টি করেছেন।[১] তিনি তোমাদেরকে আকৃতি দান করেছেন এবং তোমাদের আকৃতি সুন্দর করেছেন। [২] আর প্রত্যাবর্তন তো তাঁরই নিকট। [৩]

[১] অর্থাৎ, তা তিনি অযথা সৃষ্টি করেননি। বরং এর সৃষ্টির পিছনে ন্যায়পরায়ণতা ও যুক্তি আছে। আর তার দাবী হল, নেককারকে তার নেকীর এবং বদকারকে তার বদীর বদলা দেওয়া হোক। সুতরাং তিনি এই ন্যায়পরায়ণতার (দাবীর) পরিপূর্ণ প্রকাশ ঘটাবেন কিয়ামতের দিন।[২] তোমাদের আকৃতি, শারীরিক গঠন এবং চেহারার আকৃতি এত সুন্দর বানিয়েছেন যে, আল্লাহর অন্য সৃষ্টিকুল এ থেকে বঞ্চিত। যেমন, সূরা ইনফিত্বার ৮২:৬-৮ এবং সূরা মু'মিন ৪০:৬৪ আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, ﴿يَا أَيُّهَا الْأِنْسَانُ مَا غَرَّكَ بِرَبِّكَ الْكَرِيمِ * الَّذِي خَلَقَكَ فَسَوَّاكَ فَعَدَلَكَ* فِي أَيِّ صُورَةٍ مَا شَاءَ رَكَّبَكَ﴾ (الانفطار:৬-৮)﴿وَصَوَّرَكُمْ فَأَحْسَنَ صُوَرَكُمْ وَرَزَقَكُمْ مِنَ الطَّيِّبَاتِ ﴾ (المؤمن:৬৪)[৩] অন্য কারো কাছে নয় যে, আল্লাহর পাকড়াও ও হিসাব-নিকাশ হতে বেঁচে যাবে।