كُتِبَ
عَلَیْكُمُ
الْقِتَالُ
وَهُوَ
كُرْهٌ
لَّكُمْ ۚ
وَعَسٰۤی
اَنْ
تَكْرَهُوْا
شَیْـًٔا
وَّهُوَ
خَیْرٌ
لَّكُمْ ۚ
وَعَسٰۤی
اَنْ
تُحِبُّوْا
شَیْـًٔا
وَّهُوَ
شَرٌّ
لَّكُمْ ؕ
وَاللّٰهُ
یَعْلَمُ
وَاَنْتُمْ
لَا
تَعْلَمُوْنَ
۟۠

তোমাদের জন্য যুদ্ধের বিধান দেওয়া হল। যদিও এ তোমাদের কাছে অপছন্দ; কিন্তু তোমরা যা পছন্দ কর না, সম্ভবতঃ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর এবং তোমরা যা পছন্দ কর, সম্ভবতঃ তা তোমাদের জন্য অকল্যাণকর। আল্লাহ জানেন, তোমরা জান না। [১]

[১] জিহাদের নির্দেশের একটি উপমা পেশ করে ঈমানদারদের বুঝানো হচ্ছে যে, আল্লাহর প্রত্যেকটি নির্দেশের উপর আমল কর, যদিও তা তোমাদের নিকট অপছন্দনীয় ও ভারী মনে হয়। কারণ, এর পরিণাম ও ফলসমূহ কেবল আল্লাহই জানেন, তোমরা জানো না। হতে পারে এতে তোমাদের জন্য কল্যাণ রয়েছে। যেমন, জিহাদের ফলস্বরূপ তোমরা লাভ করবে বিজয়, সাফল্য, মর্যাদা-সম্মান এবং শীর্ষস্থান ও (যুদ্ধলব্ধ) সম্পদ-সামগ্রী। পক্ষান্তরে তোমরা যেটা পছন্দ কর (অর্থাৎ, জিহাদে না গিয়ে ঘরে বসে থাকা), তার ফল তোমাদের জন্য অতীব বিপজ্জনক হতে পারে। অর্থাৎ, শত্রু তোমাদের উপর জয়যুক্ত হবে এবং তোমাদেরকে লাঞ্ছনা ও অবমাননার শিকার হতে হবে।