تلك امة قد خلت لها ما كسبت ولكم ما كسبتم ولا تسالون عما كانوا يعملون ١٤١
تِلْكَ أُمَّةٌۭ قَدْ خَلَتْ ۖ لَهَا مَا كَسَبَتْ وَلَكُم مَّا كَسَبْتُمْ ۖ وَلَا تُسْـَٔلُونَ عَمَّا كَانُوا۟ يَعْمَلُونَ ١٤١
تِلْكَ
اُمَّةٌ
قَدْ
خَلَتْ ۚ
لَهَا
مَا
كَسَبَتْ
وَلَكُمْ
مَّا
كَسَبْتُمْ ۚ
وَلَا
تُسْـَٔلُوْنَ
عَمَّا
كَانُوْا
یَعْمَلُوْنَ
۟۠

সে এক উম্মত (দল) ছিল, যা অতীত হয়ে গেছে। তারা যা অর্জন করেছে তা তাদের, তোমরা যা অর্জন করেছ, তা তোমাদের। তারা যা করত, সে সম্বন্ধে তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে না। [১]

[১] এই আয়াতে আবারও আমলের গুরুত্ব বর্ণনা করে বলা হয়েছে যে, বুযুর্গদের সাথে সম্পর্ক জুড়ে এবং তাঁদের উপর ভরসা করে কোন লাভ নেই। কারণ, "((وَمَنْ بَطَّأَ بِهِ عَمَلُهُ لَمْ يُسْرِعْ بِهِ نَسَبُهُ )) "যার কার্যকলাপ তাকে পিছিয়ে দেয়, তার বংশমর্যাদা তাকে এগিয়ে দিতে পারবে না।" (মুসলিম, অধ্যায়ঃ যিকর ও দু'আ, পরিচ্ছেদঃ তেলাঅতে কুরআনের জন্য একত্রিত হওয়ার ফযীলত) অর্থাৎ, পূর্বপুরুষদের নেকী দ্বারা তোমাদের কোন লাভ হবে না এবং তাঁদের পাপের কারণে তোমাদেরকে পাকড়াও হবে না। তাঁদের কৃতকর্মের কারণে তোমাদেরকে এবং তোমাদের কৃতকর্মের জন্য তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না।{وَلا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى} "কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না।" (সূরা ফাত্বির ৩৫:১৮ আয়াত) {وَأَنْ لَيْسَ لِلْإِنْسَانِ إِلَّا مَا سَعَى} "আর মানুষ তাই পায়, যা সে করে।" (সূরা নাজম ৫৩:৩৯ আয়াত)