لا تحسبن الذين يفرحون بما اتوا ويحبون ان يحمدوا بما لم يفعلوا فلا تحسبنهم بمفازة من العذاب ولهم عذاب اليم ١٨٨
لَا تَحْسَبَنَّ ٱلَّذِينَ يَفْرَحُونَ بِمَآ أَتَوا۟ وَّيُحِبُّونَ أَن يُحْمَدُوا۟ بِمَا لَمْ يَفْعَلُوا۟ فَلَا تَحْسَبَنَّهُم بِمَفَازَةٍۢ مِّنَ ٱلْعَذَابِ ۖ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌۭ ١٨٨
لَا
تَحْسَبَنَّ
الَّذِیْنَ
یَفْرَحُوْنَ
بِمَاۤ
اَتَوْا
وَّیُحِبُّوْنَ
اَنْ
یُّحْمَدُوْا
بِمَا
لَمْ
یَفْعَلُوْا
فَلَا
تَحْسَبَنَّهُمْ
بِمَفَازَةٍ
مِّنَ
الْعَذَابِ ۚ
وَلَهُمْ
عَذَابٌ
اَلِیْمٌ
۟

যারা নিজেরা যা করেছে, তাতে আনন্দ প্রকাশ করে এবং যা করেনি, এমন কাজের জন্য প্রশংসিত হতে ভালবাসে, তারা শাস্তি হতে মুক্তি পাবে, এরূপ তুমি কখনও মনে করো না; তাদের জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি। [১]

[১] আলোচ্য আয়াতে এমন লোকদের জন্য কঠোর শাস্তির কথা ঘোষিত হয়েছে, যারা কেবল তাদের বাস্তব কৃতিত্ব নিয়েই খোশ নয়, বরং তারা চায় যে, তাদের খাতায় এমন কৃতিত্বও লেখা হোক বা প্রকাশ করা হোক, যা তারা করেনি। এই রোগ যেরূপ রসূল (সাঃ)-এর যুগে ছিল এবং যার কারণে আয়াত নাযিল হয়, অনুরূপ বর্তমানেও পদাভিলাষী ও যশান্বেষী প্রকৃতির মানুষের মধ্যে এবং প্রোপাগান্ডা ও আরো বিভিন্ন চালাকী ও চাতুর্যের মাধ্যমে নেতৃত্ব লাভকারী নেতাদের মধ্যেও ব্যাপকহারে এ রোগ পাওয়া যায়। আয়াতের প্রসঙ্গসূত্র থেকে এ কথাও প্রতীয়মান হয় যে, ইয়াহুদীরা আল্লাহর কিতাবে পরিবর্তন ও তা গোপন করার অপরাধে অপরাধী ছিল এবং তারা তাদের এই কুকৃতিত্বে আনন্দিতও ছিল। বর্তমানের বাতিলপন্থীদের অবস্থাও অনুরূপ। তারাও মানুষদেরকে পথভ্রষ্ট করে, ভুলপথ প্রদর্শন করে এবং আল্লাহর আয়াতের অর্থগত পরিবর্তন ও অস্পষ্ট ব্যাখ্যা করে বড়ই আনন্দবোধ করে এবং দাবী করে যে, তারাই হকপন্থী ও তাদেরকে তাদের এই প্রতারণার জন্য সাবাসীও দেওয়া হোক।

قَاتَلَهُمُ اللهُ أَنَّى يُؤْفَكُوْنَ