المال والبنون زينة الحياة الدنيا والباقيات الصالحات خير عند ربك ثوابا وخير املا ٤٦
ٱلْمَالُ وَٱلْبَنُونَ زِينَةُ ٱلْحَيَوٰةِ ٱلدُّنْيَا ۖ وَٱلْبَـٰقِيَـٰتُ ٱلصَّـٰلِحَـٰتُ خَيْرٌ عِندَ رَبِّكَ ثَوَابًۭا وَخَيْرٌ أَمَلًۭا ٤٦
اَلْمَالُ
وَالْبَنُوْنَ
زِیْنَةُ
الْحَیٰوةِ
الدُّنْیَا ۚ
وَالْبٰقِیٰتُ
الصّٰلِحٰتُ
خَیْرٌ
عِنْدَ
رَبِّكَ
ثَوَابًا
وَّخَیْرٌ
اَمَلًا
۟

ধনোশ্বর্য ও সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের শোভা।[১] আর সৎকার্য, যার ফল স্থায়ী[২] ওটা তোমার প্রতিপালকের নিকট পুরস্কার প্রাপ্তির জন্য শ্রেষ্ঠ এবং আশা প্রাপ্তির ব্যাপারেও উৎকৃষ্ট।

[১] এতে সেই সব দুনিয়াদার লোকদের খন্ডন করা হয়েছে, যারা পার্থিব ধন-মাল, উপায়-উপকরণ এবং গোত্র ও সন্তান-সন্ততির জন্য গর্ব করে। মহান আল্লাহ বললেন, এই জিনিসগুলো হল ধ্বংসশীল এবং পৃথিবীর ক্ষণস্থায়ী সৌন্দর্য। আখেরাতে এগুলো কোন কাজে আসবে না। এই জন্য পরে বলা হয়েছে যে, আখেরাতে কাজে আসবে স্থায়ী সৎকর্মসমূহ।

[২] بَاقِيَات صَالِحَات (স্থায়ী নেকীসমূহ) কোনটি বা কি কি? কেউ নামাযকে, কেউ তাহমীদ (আলহামদুলিল্লাহ), তাসবীহ (সুবহানাল্লাহ) এবং তাকবীর (আল্লাহু আকবার) ও তাহলীল (লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু) বলাকে এবং কেউ আরো অন্যান্য সৎকর্মাদিকে বুঝিয়েছেন। তবে সঠিক কথা হল, এটা ব্যাপক; যাতে সকল প্রকার নেক কাজ শামিল। যাবতীয় ফরয ও ওয়াজেব এবং সুন্নত ও নফল কাজই হল স্থায়ী নেকীসমূহ। এমন কি নিষিদ্ধ কার্যাদি থেকে বিরত থাকাও এক প্রকার নেক কাজ; এতেও আল্লাহর কাছে নেকী পাওয়া যাবে।