আর ঐ প্রাচীরটির (কথা এই যে,) ওটা ছিল নগরবাসী দুই এতীম বালকের, ওর নিম্নদেশে আছে তাদের গুপ্তধন এবং তাদের পিতা ছিল সৎকর্মপরায়ণ। সুতরাং তোমার প্রতিপালক দয়াপূর্বক ইচ্ছা করলেন যে, তারা বয়ঃপ্রাপ্ত হোক এবং তারা তাদের ধনভান্ডার উদ্ধার করুক; আমি নিজের তরফ থেকে সেসব করিনি। [১] তুমি যে বিষয়ে ধৈর্য ধারণে অপারগ হয়েছিলে, এটাই তার ব্যাখ্যা।’
[১] খাযির (আঃ)-কে যাঁরা নবী বলেন তাঁদের এটি দ্বিতীয় দলীল যা দ্বারা তাঁরা তাঁর নবী হওয়া প্রমাণ করেন । কারণ নবী ব্যতীত কারো নিকট এই শ্রেণীর অহী আসে না, যিনি কোন গায়বী ইশারায় এত বড় বড় কাজ করতে পারেন। আর না নবী ব্যতীত অন্য কারো গায়বী ইঙ্গিতে এ ধরনের কাজ মেনে নেওয়ার মত।
খাযির (আঃ)-এর নবুঅতের মত তাঁর জীবন বিষয়েও কিছু লোকের নিকট মত-পার্থক্য রয়েছে। যাঁরা মনে করেন খাযির (আঃ) এখনও জীবিত, তাঁরা বেশ কিছু লোকের সাথে তাঁর সাক্ষাৎ প্রমাণ করেন। কিন্তু যেভাবে খাযিরের আজ পর্যন্ত জীবিত থাকার ব্যাপারে শরীয়তের কোন দলীল নেই, ঠিক সেইভাবে খাযিরের সঙ্গে ধ্যানমগ্ন, নিদ্রিত বা জাগ্রত অবস্থায় কারো সাক্ষাৎ লাভের কথাও মানার যোগ্য নয়। যখন তার শরীরের হুলিয়া (গঠনাকৃতি) সঠিক দলীল দ্বারা প্রমাণিত নয়, তখন তাঁকে কিভাবে চেনা সম্ভব? আর কি ভাবেই বা বিশ্বাস করা যায় যে, যাঁরা খাযিরের সাক্ষাৎ লাভের দাবী করেন তাঁরা সত্যি সত্যি মূসা (আঃ) এর সঙ্গী খাযির (আঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। যেহেতু এমনও হতে পারে যে, খাযিরের নামে তাঁদেরকে অন্য কেউ ধোঁকা দিয়েছে।