یٰۤاَیُّهَا
الَّذِیْنَ
اٰمَنُوْا
لَا
تَتَّخِذُوا
الْیَهُوْدَ
وَالنَّصٰرٰۤی
اَوْلِیَآءَ ؔۘ
بَعْضُهُمْ
اَوْلِیَآءُ
بَعْضٍ ؕ
وَمَنْ
یَّتَوَلَّهُمْ
مِّنْكُمْ
فَاِنَّهٗ
مِنْهُمْ ؕ
اِنَّ
اللّٰهَ
لَا
یَهْدِی
الْقَوْمَ
الظّٰلِمِیْنَ
۟

হে বিশ্বাসীগণ! ইয়াহুদী ও খৃষ্টানদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না।[১] তারা একে অপরের বন্ধু।[২] তোমাদের মধ্যে কেউ তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে সে তাদেরই একজন গণ্য হবে। নিশ্চয় আল্লাহ অত্যাচারী সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না। [৩]

[১] এখানে ইয়াহুদ ও খ্রিষ্টানদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। কেননা তারা ইসলাম ও মুসলমানের শত্রু। যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব রাখবে তাদের জন্য কঠিন শাস্তির কথাও ঘোষণা করা হয়েছে যে, তারা তদেরই দলভুক্ত বলে গণ্য হবে। (বিস্তারিত দেখুন, সূরা আলে-ইমরানের ৩:২৮ ও ৩:১১৮ নং আয়াতের টীকা)[২] প্রত্যেক মানুষ কুরআনে বর্ণিত এই প্রকৃতত্বকে লক্ষ্য করতে পারে যে, ইয়াহুদ ও খ্রিষ্টানরা তাদের পরষ্পরের মধ্যে আকীদাগত কঠিন মতভেদ এবং পরষ্পরের মধ্যে বিদ্বেষ ও শত্রুতা বিদ্যমান আছে; কিন্তু তা সত্ত্বেও ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে তারা একে অপরের পৃষ্ঠপোষক ও সহায়ক।[৩] এই আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার কারণ হিসাবে বলা হয় যে, উবাদা বিন স্বামেত আনসারী (রাঃ) এবং মুনাফিকদের সর্দার আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই দু'জনেই জাহেলিয়াতের যুগ থেকে ইয়াহুদীদের সাথে মৈত্রীচুক্তিতে আবদ্ধ ছিল। বদরের যুদ্ধে যখন মুসলিমগণ বিজয়ী হলেন, তখন আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই নিজেকে মুসলিম বলে প্রকাশ করল। এদিকে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই বানু কাইনুকার ইয়াহুদীরা ফিতনার আগুন জ্বালিয়ে দিল এবং তা নির্বাপিত করা হল। এর ফলে উবাদা (রাঃ) ইয়াহুদীদের সাথে মৈত্রী-সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করে দিলেন। কিন্তু আব্দুল্লাহ বিন উবাই বিপরীত পথ অবলম্বন করে ইয়াহুদীদেরকে বাঁচানোর জন্য সমস্ত রকম প্রচেষ্টা শুরু করে দিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে এই আয়াত অবতীর্ণ হয়।

আপনার Quran.com অভিজ্ঞতা সর্বাধিক করুন!
এখনই আপনার সফর শুরু করুন:

%