তোমাদের পূর্বেও তো এ সব বিষয়ে এক সম্প্রদায় প্রশ্ন করেছিল, অতঃপর তারা তা অস্বীকার করে (কাফের হয়ে যায়)।[১]
[১] সুতরাং তোমরা যেন উক্ত প্রকার পাপে লিপ্ত হয়ে যেও না। যেমন, একদা রসূল (সাঃ) বললেন, আল্লাহ তোমাদের উপর হজ্জ ফরয করেছেন। একজন সাহাবী জিজ্ঞাসা করলেন, প্রত্যেক বছরেই কি? তিনি নীরব থাকলেন। জিজ্ঞাসক পর পর তিনবার জিজ্ঞাসা করার পর নবী করীম (সাঃ) তার উত্তরে বললেন, আমি যদি হ্যাঁ বলি, তবে অবশ্যই তা (প্রতি বছরেই) ফরয হয়ে যাবে। আর যদি এমনটি হয়েই যায়, তাহলে প্রতি বছর হজ্জ পালন করতে তোমরা অক্ষম হবে। (মুসলিমঃ হজ্জ অধ্যায় ৪১২নং, আহমাদ, আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ) এ জন্যেই কোন কোন ভাষ্যকার (عَفَا اللهُ عَنهَا) এর ব্যাখ্যায় বলেছেন যে, আল্লাহ যে জিনিসের উল্লেখ তার কিতাবে করেননি, সেটা ঐ জিনিসের অন্তর্ভুক্ত, যা আল্লাহ মাফ করে দিয়েছেন। সুতরাং তোমরা এ ব্যাপারে (জিজ্ঞাসাবাদ করা থেকে) নীরব থাক যেমন তিনি তা উল্লেখ করা থেকে নীরব রয়েছেন। (ইবনে কাসীর) এক হাদীসে নবী (সাঃ) এই অর্থকেই এই শব্দে বর্ণনা করেছেন, "তোমাদেরকে যে বিষয় সম্পর্কে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে তোমরা আমাকেও ছেড়ে দাও। (যা তোমাদেরকে কিছু বলা হয়নি, তার ব্যাপারে আমাকে প্রশ্ন করো না।) কেননা তোমাদের পূর্ববর্তীগণের ধ্বংসের মূল কারণ ছিল, বেশী বেশী প্রশ্ন করা এবং তাদের নবীদের সাথে মতানৈক্যে লিপ্ত হওয়া।" (মুসলিম) (যেমন সূরা বাক্বারায় গাভী যবেহ করার ঘটনায় বানী ইস্রাঈল অনর্থক প্রশ্ন করেছিল।)