আর মরুবাসীদের মধ্যে কতিপয় লোক এমনও আছে যারা আল্লাহর প্রতি এবং কিয়ামত দিবসের প্রতি বিশ্বাস রাখে, আর যা কিছু ব্যয় করে, তাকে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের উপকরণ ও রসূলের দুআ লাভের উপকরণরূপে মনে করে।[১] স্মরণ রাখ, তাদের এই ব্যয়কার্য নিঃসন্দেহে তাদের জন্য (আল্লাহ) নৈকট্য লাভের কারণ। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদেরকে নিজ করুণায় প্রবেশ করাবেন;[২] নিশ্চয়ই আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম করুণাময়।
[১] এটা বেদুঈনদের দ্বিতীয় শ্রেণী, শহর থেকে দূরে থাকার পরেও আল্লাহ তাআলা তাদেরকে আল্লাহ ও কিয়ামত দিবসের উপর ঈমান আনার তাওফীক দান করেছিলেন এবং সেই ঈমান দ্বারা তাদের ঐ অজ্ঞতাও দূর করে দেন, যা বেদুঈন হওয়ার কারণে বেদুঈনদের মধ্যে সাধারণতঃ পাওয়া যেত। সুতরাং তারা আল্লাহর পথে ব্যয়কৃত সম্পদকে জরিমানা ভাবত না; বরং তা আল্লাহর নৈকট্য লাভ ও রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর দু'আ পাওয়ার উপায় মনে করত। এ দ্বারা স্বাদাক্বাহ প্রদানকারীদের জন্য নবী (সাঃ) যে বর্কতের দু'আ করতেন তার দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। যেমন হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, একজন স্বাদাক্বাহ প্রদানকারীর জন্য নবী (সাঃ) এই বলে দু'আ করেছিলেন, (اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى آلِ أَبِيْ أَوْفَى) "হে আল্লাহ ! আবু আওফার বংশের উপর রহমত বর্ষণ করুন।" (বুখারী, মুসলিম)
[২] এটা সুসংবাদ যে, তারা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে সক্ষম হয়েছে এবং তারা আল্লাহর রহমতের অধিকারী।