وَمَا
مَنَعَهُمْ
اَنْ
تُقْبَلَ
مِنْهُمْ
نَفَقٰتُهُمْ
اِلَّاۤ
اَنَّهُمْ
كَفَرُوْا
بِاللّٰهِ
وَبِرَسُوْلِهٖ
وَلَا
یَاْتُوْنَ
الصَّلٰوةَ
اِلَّا
وَهُمْ
كُسَالٰی
وَلَا
یُنْفِقُوْنَ
اِلَّا
وَهُمْ
كٰرِهُوْنَ
۟

আর তাদের দান-খয়রাত গ্রহণযোগ্য না হওয়ার কারণ এ ছাড়া আর কিছুই নয় যে, তারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে কুফরী করেছে, আর তারা নামাযে শৈথিল্যের সাথেই উপস্থিত হয় এবং তারা অনিচ্ছাকৃতভাবেই দান করে থাকে। [১]

[১] এখানে তাদের স্বাদক্বাহ কবুল না হওয়ার তিনটি কারণ দর্শানো হয়েছে। প্রথম হল, তাদের কুফর ও অবাধ্যাচরণ। দ্বিতীয় হল, শৈথিল্যের সাথে নামায আদায় করা। যেহেতু, না তারা নামাযের সওয়াবের আশা রাখে, আর না-ই তা ত্যাগ করা দরুন শাস্তিকে ভয় করে। কেননা, আশা ও ভয় হল ঈমানের নিদর্শন, যা হতে তারা বঞ্চিত। আর তৃতীয় হল, তারা সন্তুষ্টচিত্তে খুশীর সাথে দান-খয়রাত করে না। আর যে কাজে অন্তর সন্তুষ্ট থাকে না, সে কাজ কবুল হয় কি করে? আসল কথা হল এই তিনটি কারণ এমন যে, তার মধ্যে একটি কারণই আমল কবুল না হওয়ার জন্য যথেষ্ট। তাহলে যে আমলে এই তিনটি কারণই একত্রিত হবে, সে আমল যে আল্লাহর দরবারে গ্রহণযোগ্য নয়, তাতে কি কোন সন্দেহ থাকতে পারে?