বিশ্বাসীদের মধ্যে কিছু আল্লাহর সঙ্গে তাদের কৃত অঙ্গীকার পূরণ করেছে,[১] ওদের কেউ কেউ নিজ কর্তব্য পূর্ণরূপে সমাধা করেছে[২] এবং কেউ কেউ প্রতীক্ষায় রয়েছে। ওরা তাদের লক্ষ্য পরিবর্তন করেনি।[৩]
[১] এই আয়াত ঐ সকল সাহাবায়ে-কিরামগণ (রাঃ) সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে, যাঁরা এই সময়ে নিজ নিজ জীবন কুরবানী দেওয়ার বিস্ময়কর দৃষ্টান্ত পেশ করেছিলেন এবং তাঁদের মধ্যে ঐ সকল সাহাবা (রাঃ)গণও ছিলেন, যাঁরা বদরের যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করতে পারেননি; কিন্তু তাঁরা এই অঙ্গীকার করে রেখেছিলেন যে, আগামীতে কোন যুদ্ধ উপস্থিত হলে তাতে পূর্ণভাবে অংশ গ্রহণ করবেন। যেমন আনাস বিন নাযর (রাঃ) এবং আরো অনেকে যাঁরা উহুদ যুদ্ধে লড়তে লড়তে শহীদ হয়ে যান। উক্ত আনাসের দেহে তরবারি, ফলা ও তীরের আঘাত জনিত আশির অধিক যখম ছিল। শাহাদত বরণ করার পর তাঁর বোন তাঁকে তাঁর আঙ্গুলের ডগা দেখে চিনেছিলেন। (বুখারী, মুসলিম, আহমাদ ৪/১৯৩)
[২] نَحْبٌ এর অর্থ অঙ্গীকার, নযর (মানত) এবং মৃত্যু করা হয়েছে। উদ্দেশ্য এই যে, ঐ সকল সত্যবাদী (সাহাবাগণের) মধ্যে অনেকে নিজ অঙ্গীকার ও নযর পূর্ণ করতে গিয়ে শাহাদতের শরবত পান করেছেন।
[৩] এবং দ্বিতীয় ঐ সকল ব্যক্তি যারা এখনো শাহাদতের নববধুর মিলন লাভ করতে পারেননি। কিন্তু সেই আকাঙ্ক্ষায় তাঁরা জিহাদে অংশগ্রহণ করেন এবং শাহাদত বরণের সৌভাগ্য লাভের জন্য উদগ্রীব, তাঁরা তাদের অঙ্গীকার ও নযরে কোন পরিবর্তন করেননি।