قالوا يا شعيب اصلاتك تامرك ان نترك ما يعبد اباونا او ان نفعل في اموالنا ما نشاء انك لانت الحليم الرشيد ٨٧
قَالُوا۟ يَـٰشُعَيْبُ أَصَلَوٰتُكَ تَأْمُرُكَ أَن نَّتْرُكَ مَا يَعْبُدُ ءَابَآؤُنَآ أَوْ أَن نَّفْعَلَ فِىٓ أَمْوَٰلِنَا مَا نَشَـٰٓؤُا۟ ۖ إِنَّكَ لَأَنتَ ٱلْحَلِيمُ ٱلرَّشِيدُ ٨٧
قَالُوْا
یٰشُعَیْبُ
اَصَلٰوتُكَ
تَاْمُرُكَ
اَنْ
نَّتْرُكَ
مَا
یَعْبُدُ
اٰبَآؤُنَاۤ
اَوْ
اَنْ
نَّفْعَلَ
فِیْۤ
اَمْوَالِنَا
مَا
نَشٰٓؤُا ؕ
اِنَّكَ
لَاَنْتَ
الْحَلِیْمُ
الرَّشِیْدُ
۟

তারা বলল, ‘হে শুআইব! তোমার ধর্মনিষ্ঠা[১] কি তোমাকে এই নির্দেশ দেয় যে, আমরা ঐসব উপাস্য বর্জন করি, যাদের উপাসনা আমাদের পিতৃপুরুষরা করে আসছে? অথবা আমাদের নিজেদের মালে নিজেদের ইচ্ছানুসারে আচরণ বর্জন করি।[২] তুমি তো বড় সহিষ্ণু, সদাচারী! [৩]

[১] صلوةٌ শব্দের অর্থ হল, ইবাদত, ধর্মনিষ্ঠা অথবা তেলাঅত।

[২] কোন কোন মুফাসসিরের নিকট এর অর্থ যাকাত ও সাদকা, সকল আসমানী কিতাবে তার আদেশ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহর আদেশকৃত যাকাত বের করা, আল্লাহর অবাধ্যদের উপর বড় কঠিন হয় এবং তারা ভাবে যে, যেখানে আমরা নিজ পরিশ্রম ও ক্ষমতাবলে সম্পদ উপার্জন করি, সেখানে তা খরচ করা বা না করাতে আমাদের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে কেন? এবং তার কিছু অংশ নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী বের করার জন্য আমাদেরকে কেন বাধ্য করা হবে? অনুরূপ ইনকাম ও ব্যবসা ইত্যাদিতে হালাল-হারাম ও বৈধ-অবৈধতার নিষেধাজ্ঞাও এ সকল লোকদের উপর বড় কষ্টকর হয়। সম্ভবত ওজনে ও পরিমাপে কম দেওয়া থেকে নিষেধ করাকেও তারা নিজ সম্পদের ব্যাপারে অনুচিত হস্তক্ষেপ ভেবেছে এবং এই শব্দে তা অস্বীকার করেছে। এর উভয় ভাবার্থই সঠিক।

[৩] শুআইব (আঃ)-কে তারা বিদ্রূপ স্বরূপ উক্ত ব্যাক্য বলেছিল।