۞ وقال اركبوا فيها بسم الله مجراها ومرساها ان ربي لغفور رحيم ٤١
۞ وَقَالَ ٱرْكَبُوا۟ فِيهَا بِسْمِ ٱللَّهِ مَجْر۪ىٰهَا وَمُرْسَىٰهَآ ۚ إِنَّ رَبِّى لَغَفُورٌۭ رَّحِيمٌۭ ٤١
وَقَالَ
ارْكَبُوْا
فِیْهَا
بِسْمِ
اللّٰهِ
مَؔجْرٖىهَا
وَمُرْسٰىهَا ؕ
اِنَّ
رَبِّیْ
لَغَفُوْرٌ
رَّحِیْمٌ
۟

সে বলল, ‘তোমরা এতে আরোহণ কর, এর গতি ও স্থিতি আল্লাহরই নামে;[১] নিশ্চয় আমার প্রতিপালক চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়াবান।’

[১] উক্ত বাক্য দ্বারা ঈমানদারগণকে সান্তনা ও সাহস দেওয়া উদ্দেশ্য ছিল যে, নির্ভয়ে ও নিঃশঙ্ক চিত্তে কিশ্তীতে আরোহণ কর, আল্লাহ তাআলাই এই কিশ্তীর সংরক্ষক, তা তারই আদেশে চলবে ও তারই আদেশে থামবে। যেমন আল্লাহ তাআলা অন্য স্থানে বলেন, (فَإِذَا اسْتَوَيْتَ أَنْتَ وَمَنْ مَعَكَ عَلَى الْفُلْكِ فَقُلِ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي نَجَّانَا مِنَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ، وَقُلْ رَبِّ أَنْزِلْنِي مُنْزَلًا مُبَارَكًا وَأَنْتَ خَيْرُ الْمُنْزِلِينَ) অর্থাৎ, যখন তুমি ও তোমার সঙ্গীরা কিশ্তীতে আরোহণ করবে, তখন বল, আল্লাহর যাবতীয় প্রশংসা, যিনি আমাদেরকে যালেম সম্প্রদায়ের কবল থেকে উদ্ধার করেছেন। আরও বল, পালনকর্তা! আমাকে এমনভাবে অবতরণ করাও, যা হবে কল্যাণকর; আর তুমিই শ্রেষ্ঠ অবতারণকারী।" (সূরা মু'মিনুন ২৩:২৮-২৯) কোন কোন উলামা কিশ্তী বা সওয়ারীতে আরোহণ করার সময় بِسْمِ اللَّهِ مَجْرَاهَا وَمُرْسَاهَا পড়া মুস্তাহাব বলেছেন। কিন্তু (سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ، وَإِنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُونَ) আয়াত পড়া হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।