قال يا قوم ارهطي اعز عليكم من الله واتخذتموه وراءكم ظهريا ان ربي بما تعملون محيط ٩٢
قَالَ يَـٰقَوْمِ أَرَهْطِىٓ أَعَزُّ عَلَيْكُم مِّنَ ٱللَّهِ وَٱتَّخَذْتُمُوهُ وَرَآءَكُمْ ظِهْرِيًّا ۖ إِنَّ رَبِّى بِمَا تَعْمَلُونَ مُحِيطٌۭ ٩٢
قَالَ
یٰقَوْمِ
اَرَهْطِیْۤ
اَعَزُّ
عَلَیْكُمْ
مِّنَ
اللّٰهِ ؕ
وَاتَّخَذْتُمُوْهُ
وَرَآءَكُمْ
ظِهْرِیًّا ؕ
اِنَّ
رَبِّیْ
بِمَا
تَعْمَلُوْنَ
مُحِیْطٌ
۟

সে বলল, ‘হে আমার সম্প্রদায়! আমার স্বজনবর্গ কি তোমাদের কাছে আল্লাহ অপেক্ষাও অধিক পরাক্রমশালী? তোমরা তাঁকে বিস্মৃত হয়ে পশ্চাতে ফেলে রেখেছ।[১] নিশ্চয়ই তোমাদের সমস্ত কার্যকলাপ আমার প্রতিপালকের জ্ঞানায়ত্তে রয়েছে।

[১] তোমরা আমাকে আমার স্বজনবর্গের কারণে ছেড়ে দিচ্ছ। কিন্তু যে মহান আল্লাহ আমাকে নবুঅতের মর্যাদা দান করেছেন, তাঁর কোন সম্মান ও মর্যাদার কোন খেয়াল তোমাদের অন্তরে নেই এবং তাঁকে তোমরা পিছনে ফেলে রেখে দিয়েছ! এখানে শুআইব (আঃ) أعزُّ عليكم منِّي 'আমার থেকে বেশী মর্যাদাবান' এর স্থানে أعزُّ عليكم من الله 'আল্লাহর থেকে বেশী মর্যাদাবান বা পরাক্রমশালী' বলেছেন। এতে এ কথা বুঝাতে চেয়েছেন যে, নবীর অসম্মান করা, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহরই অসম্মান করা। কারণ নবীগণ আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ হন। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে হকপন্থী উলামাদের অসম্মান করা ও তাঁদেরকে তুচ্ছজ্ঞান করা আসলে আল্লাহর দ্বীনের অসম্মান ও তাকে তুচ্ছজ্ঞান করার নামান্তর। কারণ তাঁরা আল্লাহর দ্বীনের ধারক ও বাহক। واتَّخذتموه তে 'ه' এর লক্ষ্যবস্তু আল্লাহ, অর্থ এই যে, আল্লাহর সেই জিনিস, যা দিয়ে তিনি আমাকে প্রেরণ করেছেন, তাকে তোমরা পিছনে ফেলে রেখেছ, তোমরা তার প্রতি কোন ভ্রূক্ষেপ করনি।