আর (তিনি আরো দৃষ্টান্ত দিচ্ছেন) ইমরান তনয়া মারয়্যাম,[১] যে তার সতীত্ব রক্ষা করেছিল, ফলে আমি তার মধ্যে আমার রূহ হতে ফুঁকে দিয়েছিলাম। সে তার প্রতিপালকের বাণী[২] ও তাঁর কিতাবসমূহ সত্য বলে বিশ্বাস করেছিল; আর সে ছিল অনুগতদের একজন। [৩]
[১] মারয়্যাম (আলাইহাস্ সালাম)-কে উল্লেখ করার উদ্দেশ্য হল, এ কথা বর্ণনা করা যে, তিনি ভ্রষ্ট এক জাতির মধ্যে থাকতেন, তা সত্ত্বেও আল্লাহ তাঁকে দুনিয়া ও আখেরাতে মর্যাদা ও সম্মান দানে ধন্য করেন এবং বিশ্বের সমস্ত নারীদের উপর তাঁকে বিশেষ মর্যাদা দান করেন।
[২] 'প্রতিপালকের বাণী' বলতে আল্লাহ প্রদত্ত বিধি-বিধানকে বুঝানো হয়েছে।
[৩] অর্থাৎ, তিনি এমন লোকদের অথবা এমন গোত্রের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, যারা আনুগত্যে, ইবাদতে এবং নেকীর কাজে শ্রেষ্ঠত্বের দাবী রাখত। হাদীসে বর্ণিত যে, "জান্নাতী মহিলাদের মধ্যে সব থেকে উত্তম হলেন খাদীজা, ফাতেমা, মারয়্যাম এবং ফিরআউনের স্ত্রী আসিয়া।" (রায্বিয়াল্লাহু আনহুন্না।) (আহমাদ ১/২৯৩, মাজমাউয্ যাওয়ায়েদ ৯/২২৩, আস্স্বাহীহাহ ১৫০৮নং) অপর এক হাদীসে এসেছে, "পুরুষদের মধ্যে পূর্ণতা তো অনেকেই অর্জন করেছে। কিন্তু মহিলাদের মধ্যে পূর্ণতার অধিকারিণী হয়েছে কেবল, ফিরআউনের স্ত্রী আসিয়া, মারয়্যাম বিনতে ইমরান এবং খাদীজা বিনতে খুয়াইলিদ।" (রায্বিয়াল্লাহু আনহুন্না।) আর সমস্ত মহিলাদের মধ্যে আয়েশা (রায্বিয়াল্লাহু আনহুর)র মর্যাদা ঐরূপ, যেমন সমস্ত খাদ্যের মধ্যে 'সারীদ' (গোশত মিশ্রিত রুটির পলান্ন) সর্বাধিক বৈশিষ্ট্যের দাবী রাখে।" (বুখারীঃ সৃষ্টির সূচনা অধ্যায়, মুসলিমঃ ফাযায়েল অধ্যায়, খাদিজা (রাঃ)র ফযীলত পরিচ্ছেদ)