وَعَلَی
الَّذِیْنَ
هَادُوْا
حَرَّمْنَا
كُلَّ
ذِیْ
ظُفُرٍ ۚ
وَمِنَ
الْبَقَرِ
وَالْغَنَمِ
حَرَّمْنَا
عَلَیْهِمْ
شُحُوْمَهُمَاۤ
اِلَّا
مَا
حَمَلَتْ
ظُهُوْرُهُمَاۤ
اَوِ
الْحَوَایَاۤ
اَوْ
مَا
اخْتَلَطَ
بِعَظْمٍ ؕ
ذٰلِكَ
جَزَیْنٰهُمْ
بِبَغْیِهِمْ ۖؗ
وَاِنَّا
لَصٰدِقُوْنَ
۟

ইয়াহুদীদের জন্য নখযুক্ত সমস্ত পশু নিষিদ্ধ করেছিলাম[১] এবং গরু ও ছাগলের চর্বিও তাদের জন্য নিষিদ্ধ করেছিলাম। তবে এগুলির পৃষ্ঠদেশের অথবা অন্ত্র কিংবা অস্থিসংলগ্ন চর্বি নিষিদ্ধ ছিল না।[২] তাদের অবাধ্যতার দরুন আমি তাদেরকে এ প্রতিফল দিয়েছিলাম।[৩] নিশ্চয়ই আমি সত্যবাদী।[৪]

[১] নখবিশিষ্ট পশু বলতে এমন পা-বিশিষ্ট পশু, যার আঙ্গুলগুলো ফাঁক-ফাঁক অর্থাৎ, পৃথক পৃথক নয়। যেমন, উট, উটপাখী, হাঁস, রাজহাঁস ইত্যাদি। এই ধরনের সমস্ত পশু-পাখী হারাম ছিল। অর্থাৎ, কেবল সেই পশু ও পাখী তাদের জন্য হালাল ছিল যাদের পায়ের ক্ষুর বা আঙ্গুল ফাঁক ফাঁক হত।

[২] অর্থাৎ, যে চর্বি গরু অথবা ছাগলের পিঠে হয় (অথবা দুম্বার লেজে হয়) কিংবা যা নাড়ীভুঁড়ির সাথে মিশে থাকে। চর্বির এই পরিমাণটুকু হালাল ছিল।

[৩] এই জিনিসগুলো শাস্তি স্বরূপ আমি তাদের উপর হারাম করেছিলাম। অর্থাৎ, ইয়াহুদীদের এ দাবী সঠিক নয় যে, এ জিনিসগুলো ইয়াকূব (আঃ) নিজের উপর হারাম করে নিয়েছিলেন এবং আমরা তো তাঁরই অনুসরণে এগুলোকে হারাম মনে করি।

[৪] এর অর্থ হল, ইয়াহুদীরা অবশ্যই তাদের উল্লেখিত দাবীতে মিথ্যুক।