ولو شاء الله ما اشركوا وما جعلناك عليهم حفيظا وما انت عليهم بوكيل ١٠٧
وَلَوْ شَآءَ ٱللَّهُ مَآ أَشْرَكُوا۟ ۗ وَمَا جَعَلْنَـٰكَ عَلَيْهِمْ حَفِيظًۭا ۖ وَمَآ أَنتَ عَلَيْهِم بِوَكِيلٍۢ ١٠٧
وَلَوْ
شَآءَ
اللّٰهُ
مَاۤ
اَشْرَكُوْا ؕ
وَمَا
جَعَلْنٰكَ
عَلَیْهِمْ
حَفِیْظًا ۚ
وَمَاۤ
اَنْتَ
عَلَیْهِمْ
بِوَكِیْلٍ
۟

আর যদি আল্লাহ ইচ্ছা করতেন, তাহলে তারা অংশী-স্থাপন করত না।[১] আর তোমাকে তাদের জন্য রক্ষক নিযুক্ত করিনি এবং তুমি তাদের কার্যবাহী (উকীল)ও নও। [২]

[১] এ বিষয়টা পূর্বেও বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহর ইচ্ছা এক জিনিস এবং তাঁর সন্তুষ্টি আর এক জিনিস। তাঁর সন্তুষ্টি তো তাঁর সাথে কাউকে শরীক না করার মধ্যেই। তবে তিনি এর উপর মানুষকে বাধ্য করেননি। কেননা, বাধ্য করলে মানুষকে পরীক্ষা করা যেত না। পক্ষান্তরে আল্লাহর এখতিয়ারে তো এ কথা আছে যে, তিনি ইচ্ছা করলে কোন মানুষ শিরক করার কোন ক্ষমতাই রাখত না। (আরো দেখুন, সূরা বাক্বারার ২:২৫৩ নং আয়াতের এবং সূরা আনআমের ৬:৩৫ নং আয়াতের টীকা)[২] এ বিষয়টাও কুরআন মাজীদের বিভিন্ন স্থানে বর্ণিত হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হল, নবী করীম (সাঃ)-এর কেবল আহবানকারী এবং বার্তাবাহক হওয়ার মর্যাদাটুকু পরিষ্কার করে দেওয়া; যা রিসালাতের দাবী এবং তাঁর দায়িত্ব কেবল এই পর্যন্তই ছিল। এর বাইরে কোন এখতিয়ার যদি নবী করীম (সাঃ)-এর থাকত, তাহলে তিনি তাঁর প্রতি বড়ই অনুগ্রহশীল চাচাকে অবশ্যই মুসলামান বানিয়ে নিতেন। যার ইসলাম গ্রহণ করার ব্যাপারে তিনি ছিলেন অতীব আগ্রহী।