তা এ জন্য যে,[১] তাদের নিকট তাদের রসূলগণ স্পষ্ট নিদর্শনাবলীসহ আসত, তখন তারা বলত, ‘মানুষই কি আমাদেরকে পথের সন্ধান দেবে?’[২] অতঃপর তারা অবিশ্বাস করল[৩] ও মুখ ফিরিয়ে নিল[৪] এবং আল্লাহও কোন পরোয়া করলেন না।[৫] আর আল্লাহ অভাবমুক্ত, [৬] প্রশংসার্হ। [৭]
[১] ذَلِكَ এ থেকে ইঙ্গিত হল সেই আযাবের প্রতি যা দুনিয়াতে তারা পেয়েছে। আর আখেরাতেও তা পাবে।
[২] এটা হল তাদের কুফরী করার কারণ। তারা এই কুফরী যা তাদের ইহকাল ও পরকালের আযাবের কারণ হয়ে দাঁড়াল তা এই জন্য অবলম্বন করেছিল যে, তারা একজন মানুষকে তাদের পথপ্রদর্শক মানতে অস্বীকার করল। অর্থাৎ, একজন মানুষের রসূল হয়ে লোকদের হিদায়াত ও পথপ্রদর্শনের জন্য আসার ব্যাপারটা তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য ছিল না। যেমন, আজও বিদআতীদের কাছে রসূলকে মানুষ মনে করা বড়ই কষ্টকর মনে হয়। هَدَاهُمُ اللهُ تَعَالَى।
[৩] সুতরাং উক্ত কারণে তারা রসূলদেরকে 'রসূল' বলে মেনে নিতে এবং তাঁদের উপর ঈমান আনতে অস্বীকার করল।
[৪] অর্থাৎ, তাঁদের নিকট থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল এবং যে দাওয়াত তাঁরা পেশ করতেন, সে ব্যাপারে তারা ভাবনা-চিন্তা করেও দেখল না।
[৫] অর্থাৎ, তাদের ঈমান ও ইবাদতের।
[৬] কারো ইবাদতে তাঁর লাভ কি এবং কেউ তাঁর ইবাদত না করলে তাঁর ক্ষতিই বা কি?
[৭] অর্থাৎ, তিনি সকল সৃষ্টির কাছে প্রশংসনীয়। অর্থাৎ, সকল সৃষ্টিকুলের জবান সদা-সর্বদা তাঁর প্রশংসায় সিক্ত থাকে।