আল্লাহর পরিবর্তে ওরা যাদেরকে ডাকে, সুপারিশের অধিকার তাদের নেই।[১] তবে যারা সত্য উপলব্ধি করে ওর (সত্যের) সাক্ষ্য দেয় তাদের কথা স্বতন্ত্র। [২]
[১] অর্থাৎ, দুনিয়াতে যে বাতিল উপাস্যগুলোর এরা পূজা-অর্চনা করে এই মনে করে যে, এরা আল্লাহর নিকট আমাদের জন্য সুপারিশ করবে। তাদের সুপারিশ করার মোটেই কোন এখতিয়ার ও যোগ্যতা নেই।
[২] হক বা সত্য বলতে বুঝানো হয়েছে, তাওহীদের কালেমা 'লা-ইলাহ ইল্লাল্লাহ'কে। এর স্বীকৃতি ও সাক্ষ্য জ্ঞান ও উপলব্ধির ভিত্তিতে হবে। (এর অর্থ না বুঝে) কেবল প্রথাগত ও (অন্যের) দেখাদেখির ভিত্তিতে যেন না হয়। অর্থাৎ, মৌখিকভাবে কালেমা তাওহীদের ঘোষণাদাতাকে জেনে রাখতে হবে যে, এতে কেবল এককভাবে আল্লাহর উপাস্যত্বকেই সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং অন্যান্য সমস্ত উপাস্যের উপাস্যত্ব নাকচ করা হয়েছে। অতঃপর (আন্তরিকভাবে) এই অনুযায়ী হবে তার আমল। এ রকম লোকের ব্যাপারে সুপারিশকারীদের সুপারিশ ফলপ্রসূ হবে। অথবা অর্থ হল, সুপারিশ করার অধিকার কেবল তাঁরাই লাভ করবেন, যাঁরা সত্যকে স্বীকার করবেন। অর্থাৎ, আম্বিয়া, নেকলোক এবং ফিরিশতাগণ এই অধিকার লাভ করবেন। সেই বাতিল উপাস্যরা নয়, যাদেরকে মুশরিকরা মনগড়াভাবে নিজেদের সুপারিশকারী মনে করে থাকে।