قالوا ربنا امتنا اثنتين واحييتنا اثنتين فاعترفنا بذنوبنا فهل الى خروج من سبيل ١١
قَالُوا۟ رَبَّنَآ أَمَتَّنَا ٱثْنَتَيْنِ وَأَحْيَيْتَنَا ٱثْنَتَيْنِ فَٱعْتَرَفْنَا بِذُنُوبِنَا فَهَلْ إِلَىٰ خُرُوجٍۢ مِّن سَبِيلٍۢ ١١
قَالُوْا
رَبَّنَاۤ
اَمَتَّنَا
اثْنَتَیْنِ
وَاَحْیَیْتَنَا
اثْنَتَیْنِ
فَاعْتَرَفْنَا
بِذُنُوْبِنَا
فَهَلْ
اِلٰی
خُرُوْجٍ
مِّنْ
سَبِیْلٍ
۟

ওরা বলবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি আমাদের দু’বার মৃত্যু দিয়েছ এবং দু’বার আমাদেরকে জীবিত করেছ।[১] আমরা আমাদের অপরাধ স্বীকার করলাম।[২] এখন নিষ্কৃতির কোন পথ মিলবে কি?’ [৩]

[১] অধিকাংশ মুফাসসিরগণের ব্যাখ্যা অনুযায়ী প্রথম মৃত্যু হল সেই বীর্য, যা পিতার পৃষ্ঠদেশে থাকে। অর্থাৎ, অস্তিত্বের পূর্বে তার অস্তিত্বহীনতাকে মৃত্যু বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় মৃত্যু হল ঐ মৃত্যু, যা মানুষ তার জীবন অতিবাহিত করার পর বরণ করে এবং যার পর সে কবরে দাফন হয়। আর দু'টি জীবন বলতে, একটি হল এই পার্থিব জীবন, যার আরম্ভ হয় জন্ম থেকে এবং শেষ হয় মৃত্যুর উপর। আর দ্বিতীয় জীবন হল, সেই জীবন, যা কিয়ামতের দিন কবর থেকে ওঠার পর লাভ করবে। এই দু'টি মৃত্যু ও দু'টি জীবনের উল্লেখ সূরা বাক্বারার ২:২৮ ﴿ وَكُنْتُمْ أَمْوَاتًا فَأَحْيَاكُمْ ثُمَّ يُمِيتُكُمْ ثُمَّ يُحْيِيكُمْ﴾ আয়াতেও করা হয়েছে।[২] অর্থাৎ, জাহান্নামে স্বীকার করবে, যেখানে স্বীকার করার কোন ফল হবে না এবং সেখানে অনুতপ্ত হবে, যেখানে অনুতপ্ত হওয়ার কোনই মূল্য থাকবে না।[৩] এটা তাদের সেই আশা-আকাঙ্ক্ষা, যা কুরআনের বিভিন্ন স্থানে উল্লেখ করা হয়েছে। আর তা হল এই আশা যে, আমাদেরকে পুনরায় পৃথিবীতে পাঠানো হোক, যাতে আমরা বহু নেকী অর্জন করে নিয়ে আসি।