ان الله عالم غيب السماوات والارض انه عليم بذات الصدور ٣٨
إِنَّ ٱللَّهَ عَـٰلِمُ غَيْبِ ٱلسَّمَـٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ ۚ إِنَّهُۥ عَلِيمٌۢ بِذَاتِ ٱلصُّدُورِ ٣٨
اِنَّ
اللّٰهَ
عٰلِمُ
غَیْبِ
السَّمٰوٰتِ
وَالْاَرْضِ ؕ
اِنَّهٗ
عَلِیْمٌۢ
بِذَاتِ
الصُّدُوْرِ
۟

নিশ্চয় আল্লাহ আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর অদৃশ্য বিষয় অবগত আছেন।[১] নিশ্চয় তিনি অন্তরে যা রয়েছে, সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত। [২]

[১] এখানে এ কথা উল্লেখ করার উদ্দেশ্য এটাও হতে পারে যে, তোমরা পুনরায় পৃথিবীতে ফিরে যাওয়ার আশা প্রকাশ করছ এবং দাবী করছ যে, এবারে অবাধ্যতার পরিবর্তে আনুগত্য ও শিরকের পরিবর্তে তাওহীদকে বেছে নেবে। কিন্তু আমি জানি যে, তোমরা এমন করবে না। যদি তোমাদেরকে পৃথিবীতে পুনরায় পাঠিয়ে দেওয়াই হয়, তবে তোমরা তাই করবে, যা পূর্বে করতে। যেমন অন্য স্থানে আল্লাহ তাআলা বলেন, (وَلَوْ رُدُّوا لَعَادُوا لِمَا نُهُوا عَنْهُ وَإِنَّهُمْ لَكَاذِبُونَ) অর্থাৎ, যদি তাদেরকে পুনরায় পৃথিবীতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে যা করতে তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছিল, পুনরায় তারা তাই করবে। আর অবশ্যই তারা মিথ্যাবাদী। (সূরা আন্আম ৬:২৮ আয়াত)[২] এখানে পূর্ব কথার কারণ বর্ণনা করা হয়েছে। অর্থাৎ, আল্লাহ তাআলা আকাশ ও পৃথিবীর যাবতীয় রহস্য সম্পর্কে কেন অবগত হবেন না, অথচ তিনি অন্তরের কথা ও রহস্য সম্পর্কে অবগত আছেন, যা সব থেকে বেশী লুক্কায়িত বস্তু।