আর পুরুষই হোক অথবা নারীই হোক, যারাই বিশ্বাসী হয়ে সৎকাজ করবে, তারাই জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের প্রতি (খেজুরের আঁটির পিঠে) বিন্দু পরিমাণও যুলুম করা হবে না। [১]
[১] যেমন পূর্বে আলোচনা হয়েছে যে, ইয়াহুদী ও খ্রিষ্টানরা নিজেদের ব্যাপারে সুধারণার বড় আত্মপ্রবঞ্চনায় লিপ্ত ছিল। এখানে মহান আল্লাহ তাদের সেই সুধারণার পর্দা ফাঁস করে বলেন যে, আখেরাতের সফলতা কেবল আশা ও আকাঙ্ক্ষায় পাওয়া যাবে না। তার জন্য তো ঈমান এবং নেক আমলের সম্বল প্রয়োজন। পক্ষান্তরে আমলনামা যদি মন্দ কাজে পরিপূর্ণ থাকে, তাহলে যেভাবেই হোক না কেন তার শাস্তি ভোগ করতেই হবে। সেখানে এমন কোন বন্ধু অথবা সাহায্যকারী হবে না যে মন্দ কাজের শাস্তি থেকে বাঁচিয়ে নিতে পারবে। আলোচ্য আয়াতে ইয়াহুদী ও খ্রিষ্টানদের সাথে সাথে মহান আল্লাহ ঈমানদারদেরকেও সম্বোধন করেছেন, যাতে তারা যেন তাদের মত বৃথা সুধারণা এবং আমলশূন্য আশা ও আকাঙ্ক্ষা থেকে নিজেদেরকে সুদূরে রাখে। কিন্তু অনুতাপের বিষয় যে, এই সতর্কতা সত্ত্বেও মুসলিমরা সেই খামখেয়ালীর মধ্যে পতিত হয়ে পড়েছে যার মধ্যে পতিত ছিল পূর্বের জাতিসমূহ। বর্তমানে বে-আমল ও বদ-আমল মুসলিমদের আলামত ও চিহ্ন হয়ে গেছে, আর তা সত্ত্বেও তারা নিজেদেরকে উম্মতে মারহুমা (রহমপ্রাপ্ত উম্মত) বলে দাবী করছে! هَدَانَا اللهُ تَعَالَى